দিনাজপুরে মুসলিম নারীর অর্থ আত্মসাৎ ও ভোগ, কর্মকর্তার আসামিদের পক্ষ নিয়ে তদন্ত

মুসলিম নারীর অর্থ আত্মসাৎ ও ভোগ করতে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোঃ শান্ত ইসলাম(নব মুসলিম) অভিনব কায়দায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক এবং নগদ অর্থ নিয়ে উধাও কোর্টে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। বীরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তার আসামিদের পক্ষ নিয়ে তদন্ত।
ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা কোর্টে মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী সুজালপুর দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল চন্দ্র রায় এর পুত্র মোঃ শান্ত ইসলাম(নব মুসলিম) পূর্বের নাম প্রশান্ত চন্দ্র রায় এর সাথে ৭ সাত বছর পূর্বে “ওপেন নেটওয়ার্ক সলিউশন” এ চাকরি করতেন সেই সুবাদে বাদিনীর সাথে আসামীর পরিচয়।
আসামি জন্মসূত্রে সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে এবং বাদিনীকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন এর মাদ্যমে গত ০৬-১০-২০২৫ ইং তাং এফিডেভিট এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহন ও ০৭-১০-২০২৫ ইং তাং এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
একপর্যায়ে বাদিনী কাজীর মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করার চাপ প্রয়োগ করলে বাদিনীর কাছ থেকে পূর্বে বিভিন্ন সময় নগদ অর্থ সহ আসামি উধাও হয়ে যান। পরবর্তী স্বামীর দাবি নিয়ে আসামীর বাসায় ভুক্তভোগী নারী গেলে আসামীর আত্মীয়-স্বজনরা লাঞ্ছিত করে ভুক্তভোগী নারীকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ভুক্তভোগী সেই নারী পরবর্তীতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন যার তদন্ত দিনাজপুর বীরগঞ্জ থানায় চলমান।
এ বিষযয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর বীরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিহাব মুঠোফোনে জানান, মেয়েটি কাপড় খোলার সময় আপনাদেরকে জানায়নি এখন কেন আপনাদের বারবার জানাচ্ছে বলে ফোন কেটে দেয়।
ভুক্তভোগী নারীর পরিবার বিষয়টি প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতে সঠিক বিচার পাবেন এমন আশা ব্যক্ত করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















