বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রাইমারি স্কুলের ওপর হেলে পড়া গাছে ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অভিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের ওপর একটি কড়ই গাছ হেলে পড়ায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা গাছটির চাপ ও আঘাতে ওয়াশ ব্লকের কার্নিশ ইতোমধ্যে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে বাতাশের কারণে শিবগঞ্জ উপজেলাধীন খেরুয়াপড়া মৌজার ১১২৮ নং দাগভুক্ত একটি কড়ই গাছ বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের ওপর হেলে পড়ে। এতে একই আঙিনায় অবস্থিত অভিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কড়ই গাছটি অপসারণের উদ্যোগ নিলে জমির মালিকানা দাবি করে আবু তালেব, ওমর ফারুক ও আব্দুল বারীগং শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পরবর্তীতে অভিযোগের শুনানি শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জিয়াউর রহমান
সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা জমিটি পরিমাপ করে উভয় পক্ষকে মালিকানা নির্ধারণের নির্দেশ দেন। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে খেরুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুলবারী মন্ডল বাদী হয়ে গত ১১নভেম্বর অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে জেলা বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা সিনিয়র সিভিল জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা নং (৫৮০/২০২৫ অন্য)।

এ বিষয়ে অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “উক্ত জায়গাটি শিক্ষা বিভাগ বগুড়ার নামে রেকর্ডভুক্ত ও বিদ্যালয়ের নামে দলিল করা আছে। বাদীপক্ষরা কেন আদালতে মামলা করেছে আমি জানিনা। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করে আইনগতভাবে মামলার জবাব দিবো। আদালত যে রায় দিবে আমরা তা মেনে নেবো।”

আদালতের রায় বাদীপক্ষরাও মেনে নিবে বলে জানিয়েছে।

এলাকাবাসী বাবু মণ্ডল বলেন, “গাছটির কারণে ওয়াশ ব্লক ব্যবহার নিয়ে সঙ্কায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”

অভিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শেফালী খাতুন বলেন, “জমি যারই হোক, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওয়াশ ব্লকের উপর হেলে পড়া গাছটি কর্তন করা জরুরি। বিলম্ব হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যার দায় কেউ এড়াতে পারবে না।”

দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে যে কোনো সময় গাছটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি দ্রুত কর্তন ও বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।