অগ্নি সন্ত্রাস কারীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যৌথসভায় গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জিয়াউর রহমানের উর্দি পরা পকেট থেকে বের হয়েছে। আওয়ামী লীগ কারও পকেটের সংগঠন না। মনে রাখা উচিত, আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সব সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। বিএনপির মুখে গণতন্ত্র মানায় না। জিয়াউর রহমান কারফিউতন্ত্র দিয়ে গেছে। আর খালেদা দিয়েছে দুর্নীতিতন্ত্র। বিএনপির দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন।

সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়। বিএনপি-জামায়াত থাকতে দেশের কোনো উন্নতি হয়নি। উন্নয়ন পোকার মতো খেয়েছে। উন্নয়ন করতে মানসিকতা থাকা দরকার। দিকদর্শন থাকা দরকার।

যৌথসভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোশনের মেয়র।

বৈঠকের শুরুতে দলের সাধারণ সম্পাদক কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা মাঠে নামিয়েছে জঙ্গিদের। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা গতকাল কার্যকর করেছে। তারা হামলা করেছে পুলিশের উপর।

এসময় মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশ রাস্তায় পড়ে ছিল, সেই ছবি মিডিয়া দেখায়নি। তারা বিআরটিসি বাস পুড়িয়েছে। সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে, সেই ছবি দেখাবে না। এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটি অংশ কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে? এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় সমাবেশ, মিডিয়া ঠিকভাবে দেখায়নি। মিডিয়ার কাছে আমরা প্রত্যাশা করি, তারা যা দেখবে তাই দেখাবে। আমরা সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে।

এসময় রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ আমরা করতে দেবো না। আগামীকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশও মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে। জনগণের ভোগান্তি হতে দেওয়া যাবে না।

কূটনীতিকদেরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুরা একতরফা কথা বলবে, এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়।