অন্যের স্ত্রী-সন্তান ‘ভাগিয়ে নিয়ে’ সংসার! যশোরে পুলিশ সদস্য ক্লোজড
সন্তানসহ অন্যের স্ত্রীকে ‘ভাগিয়ে’ নিয়ে সংসার করার অভিযোগে যশোরে আব্দুর রহমান কনক নামে এক পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ওই নারীর স্বামীর অভিযোগের পর বুধবার (৬ জানুয়ারি) ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেন পুলিশ সুপার।
আবদুর রহমান কনক যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ভাগিয়ে আনা নারী রংপুর মহানগরের তাজহাট এলাকার বিপ্লবের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন।
বিপ্লবের স্বজনরা জানান, স্বপ্না খাতুন ও বিপ্লবের ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। স্বপ্না খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান কনক। গত ২৫ ডিসেম্বর স্বপ্না খাতুন চার বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে আবদুর রহমান কনকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
তারা আরও জানান, কনকের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। এরপরও তারা পালিয়ে গিয়ে কনকের কর্মস্থল যশোরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। স্ত্রী সন্তানের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বিপ্লব। এক পর্যায়ে তাদের অবস্থান জানতে পেরে। গত ৪ জানুয়ারি রংপুরের তাজহাট থানায় অভিযোগ দেন বিপ্লব। কিন্তু থানা মামলা গ্রহণ করেনি। তারা বলেছে, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আব্দুর রহমান কনককে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেছে যশোর পুলিশ বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, বুধবার কনস্টেবল আবদুর রহমান কনককে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এটি পারিবারিক ঘটনা। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলে, বাদী-বিবাদী তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোকাবেলা করবেন।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান কনক বলেন, মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকেই আমাদের সম্পর্ক হয়। আমি তাকে ভাগিয়ে কিংবা অপহরণ করি নাই। স্বপ্না স্বেচ্ছায় আমার কাছে চলে এসেছে। স্বপ্না বলেছে সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েই এসেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন