অবৈধভাবে এভারেস্টে চড়ার চেষ্টা করে দক্ষিণ আফ্রিকান আটক
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে চড়ার জন্য বৈধ এবং অবৈধ- দুটি উপায়ই আছে। আপনি যদি নেপাল সরকারের নথিপত্রে সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তাহলে আপনি বৈধ পর্বতারোহী বলে গণ্য হবেন। তবে অনেকে অবৈধভাবে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন। আর এ ধরনের পর্বতারোহীদের ধরতে পারলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক রায়ান সিন ডেভি এভারেস্টে চড়ার জন্য নেপাল সরকারের কোনো অনুমতি নেননি। পর্বতারোহনের কিছু সরঞ্জাম নিয়ে তিনি নিজেই এভারেস্টে ওঠার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অবশ্য তিনি আটক হয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
আটক করার পর তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেভি। তিনি জানান, দুঃখ প্রকাশ করার পরও তার সঙ্গে অত্যন্ত রূঢ় আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুঃখ প্রকাশের পরও তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে, ঠিক যেন ‘তিনি একজন খুনি’। তাকে আটক করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ডেভিকে আটক করা হয়েছে প্রায় ৭৩০০ মিটার ওপর থেকে। এ সময় তিনি একটি গুহায় লুকিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন যে, তার কাছে হিমালয়ে চড়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।
এভারেস্টে চড়ার জন্য প্রত্যেক আরোহীকে নেপালের সরকারের কাছ থেকে পারমিট নিতে হয়। এ জন্য সরকারকে প্রতিজন বাবদ ১১ হাজার ডলার দিতে হয়। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই পারমিটের বৈধতা থাকে। তবে এ চার্জ বহু পর্বতারোহীর জন্যই অতিরিক্ত ব্যয়। এটি বহন করতে না পেরে অনেকেরই এভারেস্টে চড়ার শখ অপূর্ণ রাখতে হয়। অনেকে আবার এ কারণে চার্জটি ছাড়াই অবৈধভাবে এভারেস্টে চড়ার চেষ্টা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন