অসম্ভবকে সম্ভব করার ৫ উপায়
অফিসের বাঁধাধরা নিয়মের বেড়াজালে বন্দী হয়ে অনেকেই হাঁসফাঁস করেন। ছুটির দিনটা তাড়াতাড়ি চলে যায় বলে আফসোস থাকে অনেকের। প্রতি মাসের শেষে বেতন নিতে হয় বলে ইচ্ছার বিরুদ্ধেও কাজ করতে হয়। অর্থাৎ অফিসে কাজের জন্য কোনো লক্ষ্য থাকে না। চাকরির শুরুতে যতটা উৎসাহ দেখা যায়, বছর যেতে না যেতেই হতাশা বাড়তে থাকে। কিছুদিন করপোরেট অফিসে চাকরি করার পর অনেকেই বলেন, আর সম্ভব না। কারণ, করপোরেট অফিসের চাপ আর একঘেয়েমি পেয়ে বসে একসময়। তাই এ সময় নিজেকে উদ্বুদ্ধ রাখা জরুরি। অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারলে সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন কিছু নয়।
নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার কয়েকটি পরামর্শ:
সকালে ব্যায়াম
করপোরেট চাকরিজীবীদের নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। এ জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে উঠে ব্যায়াম করতে পারেন। মেডিটেশন, জগিং বা যোগব্যায়াম শরীরকে চাঙা রাখবে। ঘড়ির কাঁটা ধরে অফিসে যাওয়ার আগে সকালটা শুরু করতে পারেন বিভিন্ন কসরত করে। এতে শরীরে ডোপামিন নির্গত হয়, যা সুখের অনুভূতি তৈরি করে। এতে ইতিবাচক ভাবনা তৈরি হয়।
কাজকে নিজের বলে মনে করা
অফিসে শুধু নিয়মমাফিক কাজ করা আর সর্বোচ্চ নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। যেকোনো কাজে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় রাখুন। এতে আপনার চাঙা ভাব বাড়বে। কাজকে নিজের বলে মনে করার মধ্যে একধরনের কর্মস্পৃহা বাড়তে দেখা যায়। এতে লক্ষ্য ঠিক থাকবে এবং পেশাগত জীবনে সন্তুষ্টি আসবে।
ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন
বছরের শেষে নিজেকে কোথায় দেখবেন—এ ধরনের বড় চিন্তা করার পরিবর্তে ছোট ছোপ পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। নিজের কাজকে ভালোবাসুন। যা করছেন, সে কাজের মূল্যায়ন চিন্তার পরিবর্তে ছোট ছোট পদক্ষেপ সফল করার চিন্তা করুন। সংক্ষিপ্ত সময়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করলে মনঃসংযোগ ঠিক থাকবে। সকালে ওঠার মতো কাজগুলো সহজ হবে। নিজেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিন এবং নতুন প্রকল্প নিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা চালান। যদি একঘেয়েমি পেয়ে বসে, তবে তা দূর করার জন্য বই পড়া, কোথাও বেড়িয়ে আসার মতো কাজগুলো করতে পারেন।
সঠিক সংস্কৃতি গড়ে তুলুন
করপোরেট অফিসে অনেকেই আট ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাটান। কিন্তু দিনের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টা নেতিবাচক পরিবেশে কাটাতে হয়। তবে মনোবল ঠিক রাখা কঠিন। এ কারণে কর্মক্ষেত্রে সঠিক সংস্কৃতি তৈরি করা প্রয়োজন। সঠিক এ সংস্কৃতি তৈরির শুরুটা নিজে থেকেই করতে পারেন। অফিসে যদি রাজনীতির আভাস পান, তবে তা এড়িয়ে চলুন। সব সময় নিজেকে ইতিবাচক রাখুন এবং সবার সঙ্গে হাসিমুখে ভাব বিনিময় করুন। এটা একসময় সবার মধ্যে ছড়িয়ে যেতে দেখবেন। অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে হালকা পরিবেশ থাকলে সবার জন্য সুবিধা হয়।
কৃতজ্ঞতা অনুশীলন
নিজেকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তোলা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করলে নিজেকে সব সময় উন্নত করে তোলা যায়। নিজেকে আরও উন্নত পর্যায়ে তুলে নিতে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবে অন্যদের তুলনায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে পারেন। কখনো হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। ভেবে দেখুন, অনেকেই ডিগ্রি নিয়েও চাকরি পাচ্ছেন না বা অনেকেই আপনার পর্যায়ে আসতে পারেননি। চারপাশে দেখুন, নিজে অনুভব করুন। তথ্যসূত্র: টিএনএন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন