আ, লীগ ছাড়লে কী হবে ইনুও জানেন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছেড়ে ভোট করলে কী হবে, তা ইনুও জানেন। এর আগে টেস্ট হয়েছে।
বতর্মান মহাজোট সরকারের শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটানোর পর জবাব এসেছে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, জাসদ যদি আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচনে যায়, তার ফল কী হবে- তা ইনু নিজেও জানেন। তিনি বলেন, আলোচনা করা ঠিক নয়। উনার যা ক্ষোভ আছে, এটা আমরা দলীয় ফোরামে, সরকারি ফেরামে আলাপ করে নেব। চিন্তার কোনো কারণ নেই।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করে তিনটি আসন পায় ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ। মেয়াদের শেষ দিকে এসে ইনু পান মন্ত্রিত্ব। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ পায় পাঁচটি আসন। ইনুকে আবারও তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার(৮ নভেম্বর) কুষ্টিয়ায় এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, তারা সংখ্যায় বিপুল না হলেও তাদের ছাড়া ‘হাজার বছরেও’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আপনারা ৮০ পয়সা থাকতে পারেন। আপনি এক টাকার মালিক না। যতক্ষণ এক টাকা হবেন না ততক্ষণ ক্ষমতা পাবেন না। আপনি ৮০ পয়সা আর এরশাদ, দিলীপ বড়ুয়া, মেনন আর ইনু মিললে তবেই এক টাকা হবে। আমরা যদি না থাকি তাহলে ৮০ পয়সা নিয়ে আপনারা (আ. লীগ) রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরবেন।
এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তন এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে। তিনি বলেন, ইনু সাহেব অভিমান, ক্ষোভ থেকে বোমা ফাটিয়েছেন। কেন এ অভিমান? উনি নিজেও জানেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন করলে রেজাল্ট কী হবে? আগে করে তো টেস্ট করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বিতরণ উপলক্ষে টিএসিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
অন্তর্কোন্দলে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনটির বর্তমান কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী পরিমাণ বেড়েছে, কিন্তু গুণগত সমৃদ্ধি নয়। গুণগত গভীরতার ঘাটতি আছে। ছাত্রলীগের কিছু কিছু ঘটনা… প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়ক দেশকে যে সমৃদ্ধ করছে, তাকে ম্লান করে। যদি ম্লান হয়ে যায়, তবে সেটা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্য।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন