রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি (২২) নিহতের ঘটনায় আসামি শনাক্তের কাজ করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব বলছে, এ কাজে তারা অনেক দূর এগিয়েছে। খুব দ্রুত ঘটনার মোটিভ ও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংইয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শাজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেটের আগে একটি মাইক্রোবাস সিগন্যালে ছিল। সেই মুহূর্তে একজন দুষ্কৃতকারী হেলমেট ও মাস্ক পরা অবস্থায় মাইক্রোবাসটির বাম পাশ দিয়ে গুলি চালায় এবং জাহিদুল ইসলাম টিপু ও তার গাড়িচালক ঘটনাস্থলে আহত হন।

তিনি বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে মাইক্রোবাসের ডানপাশে রিকশায় প্রীতি নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। সেখানে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টিপু ও ওই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশকিছু ফুটপ্রিন্ট, আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। এছাড়া বেশকিছু মোটিভ র‌্যাবের কাছে এসেছে। এই মোটিভগুলো পর্যালোচনা করছি। যে গুলি করেছে তাকেও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। র‌্যাব ছাড়াও পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে।

এদিকে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

শুক্রবার সকালে শাজাহানপুর থানায় করা এ মামলায় তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞতা আসামি হিসেবে মামলা করেছেন ডলি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন।