আইনি অনুমোদন পেলেই ইভিএম ব্যবহার : সিইসি
আইনগত অনুমোদন পেলেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তবে ইভিএমগুলো ত্রুটিমুক্ত কি না সেটা আগেই নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি। ২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কর্মকর্তাদের টিওটি প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে মানুষের মাঝে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে। আমরা ভোটারদের মাঝে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করবো। পরিপূর্ণভাবে ইভিএম ব্যবহার করবো। কোনও ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ইভিএম অতিরিক্তভাবে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। নিখুঁতভাবে যতটুকু ব্যবহার করা যাবে ততটুকুই ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’
সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য এখনও আইনি স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘স্বীকৃতি পেলেই এটি ব্যবহার করা হবে। এই যন্ত্র ব্যবহার করলে ভোট গ্রহণ সহজ হবে, কষ্ট কমে যাবে, ভোট গণনা সহজ হবে। ভোট কারচুপি হবে না।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের আগে ইভিএম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানার পর মন্তব্য করলে ভালো হয়। আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হতে হবে। নির্বাচনের ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোখলেসুর রহমান। কর্মশালায় ৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন