আউয়াল-হুদারা ৩ মাসে পারলে অন্তর্বর্তী সরকার কেন পারবে না : মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশন ইস্যুতে সার্চ কমিটি গঠনের আগে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এমন প্রত্যাশা ছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সার্চ কমিটি গঠন করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন ছিল। এমন একটা প্রত্যাশা ছিল। যাই হোক এটি নিয়ে বড় ধরনের কোনো সমস্যা মনে করছি না।
তিনি বলেন, আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করুক। তিন মাসের মধ্য যদি আউয়াল-হুদারা নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন তাহলে আপনারা কেন পারবেন না।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অন্তর্বর্তী সরকারের ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। যিনি এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তিনি পৃথিবীজুড়ে সমাদৃত। তিনি নিজেও বলেছেন তার রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অনুরোধ রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মানুষ আপনাকে সম্মান দিয়েছে। সেই জায়গা যেন নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের চরিত্রের একটি জঙ্গি, আরেকটি সন্ত্রাস।
ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে খালি হাতে লড়াই করে সাধারণত জয়ী হওয়া যায় না, এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তবে এবার এ দেশের ছাত্র-জনতা সেটি প্রমাণ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সেই নির্বাচনে যেন জনগণ ভোট দিতে পারে। নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে। এটা আমাদের প্রত্যাশা। এটাই জনগণ চায়। আমরা জানি এটা খুব অল্প সময়, এখনো তিন মাস যায়নি। ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল, এই সময়ের মধ্যে দেশে গণতন্ত্র তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। অর্থনীতিকে মুচড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে এই সরকার। অর্থনীতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে এখন পর্যন্ত মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে চরিত্র তৈরি করেছে এর বাইরে গিয়ে কেউ কাজ করে না। ঘুস খায় না, স্বজনপ্রীতি করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী ও প্রশাসনসহ সব জায়গায় দুর্নীতি।
রাজনৈতিক সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, রাজনৈতিক সংগ্রাম চলতে থাকে। সংস্কার কার্যক্রম তেমনি চলমান থাকে। আমরা প্রত্যাশা করবো সরকার দ্রুত সংস্কার কমিশন থেকে রিপোর্ট নিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরবেন এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সব সংস্কার কিন্তু জনগণের দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে। এবং জনগণ সেটা মেনে নিতে হবে। জনগণের মতামত ছাড়া কোনো সংস্কার দীর্ঘায়িত হবে না। ওপর থেকে ছাপিয়ে দিয়ে কোনো কিছুর সফল হয় না।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন