আট লঙ্গরখানায় খাবার পাচ্ছে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম
প্রাণের ভয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে সোমবার বিকাল থেকে আটটি লঙ্গরখানায় রান্না করা খাবার বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সেখান থেকে প্রতিদিন ১ লাখ রোহিঙ্গাকে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রোহিঙ্গা বিষয়ক সেলের প্রধান খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল বিকাল থেকে ৮ টি স্থানে প্রশাসনের উদ্যোগে লঙ্গরখানাগুলো চালু হয়েছে। এখানে দৈনিক ১ লাখ রোহিঙ্গাকে রান্না করে খাওয়ানো হবে।’ এছাড়া নির্ধারিত ১২ টি পয়েন্ট থেকে নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে ও জানান তিনি।
কক্সবাজারে সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দেয়া হয়েছে ৩ নং স্থানীয় সর্তক সংকেত। বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছে রোহিঙ্গারা।
কবে মঙ্গলবার দুপুরের পর বৃষ্টি কমে গেলেও আশ্রয় নেয়াদের দুর্ভোগ কমেনি। বৃষ্টির সাথে যুক্ত হয়েছে পলিথিন না থাকা, খাবার না পাওয়াসহ নানা দুর্ভোগ।
বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া আবুল কাশেম বলেন, আমাদের খাবারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। মাথার উপর ছাউনি নেই। ঘরবাড়ী ছেড়ে যখন চলে এসেছি তখন কী আর করবো। দয়া করে আমাদের ঘরের ছাউনি আর খাবারের ব্যবস্থা করুন। আমাদের সাহায্য করুন।
বালুখালীতে সড়কের পশ্চিম পাশে একটি সমতল এলাকায় রোহিঙ্গাদের শতাধিক পলিথিনের ঝুপড়ি ছিল। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া বর্ষণে ডুবে গেছে এসব ঝুপড়ি। ফলে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিন রাস্তার পাশে আশ্রয় নেয়াদের নির্ধারিত ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়ার কাজ করতে দেখা যায় পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানিয়েছেন, আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একত্রে করতে ২ হাজার একর পাহাড়ি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। উখিয়া উপজেলার কুতুপালং থেকে বালুখালী এলাকা পর্যন্ত এ জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব রোহিঙ্গাকে এখানেই নিয়ে আসা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন