আত্মহত্যা নয়, দিয়াজকে খুন করা হয়েছে : সিআইডি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যা করেননি বলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দিয়াজের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দিয়াজ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থার কাছে এই রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে।
দিয়াজ হত্যা মামলার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির দিয়াজের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন প্রতিবেদনে দিয়াজ আত্মহত্যা করেননি বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে দিয়াজের মৃত্যু ‘হত্যামূলক’।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর দিয়াজের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চসিক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবারসহ চবি ছাত্রলীগের একটি অংশ। তারা বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কোনো মিল নেই। এরপর আদালতের নির্দেশে দিয়াজের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকায় দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় ময়না তদন্তে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পায় তদন্তকারী দল।
গত বছর ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর ফটক এলাকার নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ পাওয়া যায়। গত ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আদালতে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর আবেদনে আদালতের নির্দেশে ১১ ডিসেম্বর দিয়াজের লাশ পুনঃময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা দিয়াজের দেহে জখম পাওয়ার কথা জানান। গত ১ জানুয়ারি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন তদন্তকারী চিকিৎসকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন