আদাবরে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নেতা তুহিন গ্রেফতার
ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গাড়িচাপায় দুই কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোহাম্মদরপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, রোববার ভোরে সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, আদাবর যুবলীগের আহ্বায়ক তুহিনকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
শনিবার পিকআপচাপায় নিহত আরিফের বাবা ফারুক হোসেন রাতে ৩৫-৪০ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন, যার মামলা নম্বর-৪৯।
জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ফৌজদারি আইনের ১৪৩, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৪ ও ১০৯ ধারায় করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আরিফুর রহমান তুহিন গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে আবুল হাসেম হাসুর কাছে হেরে যান।
ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ওই আসন থেকে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার কযেক দফা সংঘর্ষ হয়।
নবোদয় হাউজিং, আদাবরের ১০ ও ১৬ নম্বর সড়ক, শম্পা মার্কেট এলাকা এবং উত্তর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ে ওই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।
এর মধ্যে নবোদয় হাউজিংয়ের লোহার গেটের কাছে সংঘর্ষের মধ্যে একটি পিকআপ ভ্যানের চাপায় আরিফ (১৫) ও সুজন (১৭) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পর সাদেক খান অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা তুহিনের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন শনিবার বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্যের লোকজনের ওপর কারা হামলা চালাতে পারে, এটি পরিষ্কার। তারা জামায়াত-শিবির ও বিএনপির লোক। তারা আওয়ামী লীগের লেবাস পরে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে মাঠে নেমেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন