আদালতে খোকনকে গ্রেফতারের নির্দেশ, অতপর…
আদালতে বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ করায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে মৌখিকভাবে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়। অতপর তার পক্ষে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘স্যার যা হওয়ার হয়েছে। এবারের মতো ক্ষমা করে দেন।’ পরে বিচারক খোকনকে ক্ষমা করে দেন।
সোমবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মামলা তদন্ত কর্মকর্তাকে (প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নুর আহম্মেদ) আংশিক জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। জেরা শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন আদালতে এজলাসের পরিবেশ নিয়ে বিচারকে বলেন। তিনি বলেন, এজলাসে যেন বিচারের পরিবেশ ঠিক থাকে। সবাই যেন একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করতে পারি।
এরপর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনের শুনানি করেন। তিনি বলেন, মামলাটির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি ব্যতীত বিদেশে চলে গেছেন। তার জন্য মামলার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
এসময় খোকন বলেন, ‘পিপি সাহেব মামলার বাইরে কথা বলেন। তিনি আদালতের পরিবেশ নষ্ট করছেন।’
তখন বিচারক খোকনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এখানে তো আপনার সিনিয়ার (জয়নাল আবেদীন) কথা বলেছেন। আপনার কথা বলার কী প্রয়োজন। তিনি সিনিয়র মানুষ তার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত আমাদের।’ এরপর খোকন অসদাচরণমূলক কথা বলতে থাকেন।
এসময় বিচারক পুলিশকে লক্ষ্য করে বলেন, তাকে (খোকন) গ্রেফতার করতে। এসময় এজলাসে থাকা কিছু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে এগিয়ে যান। তখন তার পক্ষে এ জে মোহাম্মদ আলী ক্ষমা চান। আদালত তাকে তখন ক্ষমা করে দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন