আন্দোলন দমন করতে বিধিনিষেধ আরোপ : বিএনপি
সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে না, বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমন করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। ইতিমধ্যে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ আরোপের ফলে পূর্ব ঘোষিত জেলা সমাবেশ স্থগিত করেছে দলটি।
শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান।
নজরুল বলেন, ‘কোভিড বিস্তারের প্রথম দিকে সরকারের অবহেলা এবং মন্ত্রীদের দায়িত্বহীন আস্ফালন জনগণকে বিপদাপন্ন ও কোভিডের অসহায় শিকারে পরিণত করেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা বাস্তবায়নে জনগণকে সম্পৃক্ত না করার আত্মঘাতী প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞ মহল যখন বলছেন উন্মুক্ত স্থানের চেয়ে বদ্ধ স্থানে কোভিড বেশি ছড়ায় তখন সরকার ১১ দফা নির্দেশনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে বদ্ধ স্থানে তা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এই অযৌক্তিক সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই কোভিড সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে নেওয়া হয়নি। বিরোধী দলসমূহের চলমান প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত বা দমন করার জন্য করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে, হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে, সারাদেশে মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিববর্ষ পালনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা যাবে সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক এবং দমনমূলক বলেই আমরা মনে করি।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘এসব দমন-পীড়নে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায়নি বরং তা আরও বেগবান হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ও দারুণভাবে অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসাসহ অনির্বাচিত দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য যথার্থ নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে। ইতোমধ্যে জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলমান সভা সমাবেশের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী দলসমূহের সব কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতাদের যেকোনো নির্ধারিত তারিখে সভা সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন