আন্দোলনে আগ্রহ নেই মৌসুমীর, তাই পদত্যাগ!
গেল মে মাসে সম্পন্ন হয়েছে ‘শিল্পী সমিতি’র আলোচিত নির্বাচন। এই নির্বাচনে কার্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে সানি-অমিত প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তারকাদের এই ভোট যুদ্ধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটে জয় লাভও করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিশা-জায়েদ প্যানেল সদ্য পদত্যাগ চাইলেন মৌসুমী!
ব্যক্তিগত ব্যস্ততার দরুন সংগঠনকে সময় দিতে পারবেন না জানিয়ে হঠাৎ মৌসুমীর পদত্যাগের সিদ্ধান্তে রীতিমত চমকে উঠলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলে! অনেকে মনে করছেন, সানি-অমিত প্যানেল জয়লাভ না করায় মৌসুমী যে শিল্পী সমিতির এই কমিটিতে থাকবেন না এটা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিলো। আর সেটাই করলেন তিনি।
গত সোমবার (৩ জুলাই) শিল্পী সমিতিতে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন মৌসুমী। মৌসুমীর এই পদত্যাগ পত্রটি তার স্বামী ও অভিনেতা ওমর সানি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন। পদত্যাগপত্রে মৌসুমী লিখেন, আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৭-২০১৯ মেয়াদে কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত হই। ব্যক্তিগত নানাবিধ সমস্যা থাকার কারণে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমি উক্ত পদ হতে পদত্যাগ করতে আগ্রহী।
কেনোই বা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, আর বিপুল ভোটে জয়লাভ করেও কেনোই বা হঠাৎ পদত্যাগ করছেন জানতে চাইলে গণমাধ্যমে মৌসুমী বলেন, এরইমধ্যে শিল্পী সমিতি ভালো কাজ করার আভাস দিচ্ছেন। চলচ্চিত্রের জন্য বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনও করছে শিল্পী সমিতি। তবে এই আন্দোলনে আমি বিশ্বাসী নই। আমরা তো একই পরিবারের। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব কেন? এতে তো বাইরের মানুষ হাসবে। সঠিক নিয়মের কথা শিল্পী সমিতি বলবে, সেটাই কার্যকর হবে।
মৌসুমীর এমন মন্তব্যের পর আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, মিশা-জায়েদের যৌথ প্রযোজনার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে মত নেই চিত্রনায়িকা মৌসুমীর। আর সে কারণেই হয়তো এই সমিতি থেকে পদত্যাগ চাইছেন। অন্যদিকে মৌসুমীর পদত্যাগের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শিল্পী সমিতির নেতারা। বরং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলছেন, মৌসুমীতো এখনো শপথই করেনি। সে কিভাবে পদত্যাগ চায়?
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন