আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের মুক্তিতে বাধা নেই
অবৈধভাবে সোনা মজুদ রাখার মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জোসনা পারভীন।
এর ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে অর্থপাচার মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
তবে অবৈধভাবে সোনা মজুদ রাখার মামলায় দিলদার আহমেদ মুক্তি পাননি।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ।
সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের অবৈধ লেনদেনের তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা।
গত ৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু শাখা থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়।
জব্দকৃত এসব স্বর্ণালঙ্কারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গত ১২ আগস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর মুদ্রাপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দিলদার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গুলশান, ধানমণ্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করে।
এর মধ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর তিন মামলায় দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাকি দুই মামলা মুলতবি রাখেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
অভিযোগে বলা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি।
বনানীতে আলোচিত ওই ধর্ষণের ঘটনার পর একাধিক মামলায় চলতি বছরের ২২ ও ২৩ অক্টোবর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অর্থপাচারের তিন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গত ২৪ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন সহোদর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন