আপিলের ওকালতনামায় সই করেছেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আপিলের জন্য ওকালতনামায় সই করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে তিনি ওকালতনামায় সই করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পণ্ড হয়েছে। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দুপুর ২টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করতে দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রায় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরনো ঢাকার বখশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

এছাড়াও, মামলার অন্য আসামি তারেকসহ ৫ আসামি ১০ বছরের জেল ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

এ রায় দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই নিজেরাই জ্বালাও পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবো। দেশনেত্রীর শেষ কথা, ধৈর্য ধরে জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিতে হবে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, প্রতিবাদ করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

বিএনপি মহাসচিব বললেন, দেশনেত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, যদি রায় আপনার বিপক্ষে যায়, আমরা কী ধরনের কর্মূসচি দেবো। তিনি আমাদের স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনও ধরনের হঠকারী আর সহিংস কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। তাই আবারও বলছি, শান্তি চাই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশনেত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। যে নেত্রী কারাগারে থাকা অবস্থায় সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তাকে সাজা দেওয়া হলো অন্যায়ভাবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা করবে না ইতিহাস।

মির্জা ফখরুল জানান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস ও চট্টগ্রামের শাহাদাতসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাড়ে তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। আমরা ক্ষেভের সঙ্গে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বরাবরই সহিংসতা তৈরি করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে পুলিশের সহায়তায় চড়াও হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা বরাবরই বলে এসেছি, এই মামলায় খালেদা জিয়ার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। কোনোভাবেই তিনি সম্পৃক্ত নন। কোনও কাগজে তার নাম নেই। কোনও ব্যাংক অ্যাকউন্টেও নেই তার নাম। তবুও দুর্ভাগ্যজনক হলেও তাকে শাস্তি দেওয়া হলো। এটি সংবিধান ও মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।