আফ্রিকা কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভয়াবহ বন্যা, ১৬৯ জনের মৃত্যু
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে বন্যায় কমপক্ষে ১৬৯ জন মারা গেছেন। গত ক’দিন ধরেই দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে সৃষ্ট বন্যা ক্রমশ ধ্বংসাত্মক রূপ ধারণ করেছে। প্রাণহানীর পাশাপাশি বহু মানুষ আহতও হয়েছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে দেড় কোটি মানুষের শহর রাজধানী কিনশাসা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় ৩০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৮ হাজার বাসিন্দা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। নগরীর মন্ট-নগাফুলা এবং এনগালিমা জেলাগুলি বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ এবং দেশটির সরকারের সমাজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ দল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে।
পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ নিহতদের স্মরণে তিন দিনের জাতীয় শোক পালনের সমাপ্তি। সরকার নিশ্চিত করেছে যে, যারা তাদের জীবন হারিয়েছে তাদের একটি মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ সমাধির আয়োজন করবে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার অন্তত ২০টি দেশের আনুমানিক ৮২ লাখ মানুষ সাম্প্রতিক এ সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘ অনুমান করছে যে, প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৫ লাখের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। কঙ্গো নদীর তীরে অবস্থিত কিনশাসা শহরে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেছে। তারা শহরের বন্যা-প্রবণ নিচু এলাকায় বাড়ি তৈরি করছে। এসব বাড়ি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব বাড়ি বন্যার কবলে পড়ছে। মন্ট-নগাফুলার বাসিন্দা ব্লানচার্ড এমভুবু বলেন, আমরা এখানে এর আগে এত ভয়াবহ বন্যা দেখিনি। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম এমন সময় আমার ঘরে পানি ঢুকে বলে টের পাই। এটি একটি বড় বিপর্যয়। আমরা বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলেছি, কিছুই বাঁচানো যায়নি।
গত অক্টোবর মাস থেকেই ইকুয়েট্যুর, মানিমা, নর্ড-উবাঙ্গি, সুদ-উবাঙ্গি এবং তিশাপো প্রদেশগুলি বন্যাক্রান্ত হয়ে আছে। এর আগে ২০১৯ সালে কিনশাসায় কমপক্ষে ৩৯ জন বন্যার কারণে মারা গিয়েছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন