আমরা জনগণের শক্তিতে আর বিএনপি ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে : তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি শাসনামলে আমাদের সমাবেশে বোমা হামলা করা হয়েছে। তখন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। আর আমরা এখন বিএনপির জনসভায় নিরাপত্তা দিয়েছি। এটিই হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।

আজ শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কায়ছার রহমান অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী সফর উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। আর বিএনপি ষড়যন্ত্র আর অস্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সুতরাং জনতার শক্তিতে যেন সমস্ত অপশক্তি দূরীভূত হয়, সেটিই ২৯ তারিখে রাজশাহীর জনসভায় দেখিয়ে দিতে হবে।’

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে বিভিন্নভাবে জনসভা করেছে। আমরা সহায়তা করেছি। আমরা সহায়তা না করলে তারা এই জনসভা করতে পারত না। আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের জনসভায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত, চারশ জনের বেশি আহত হয়েছে। শেখ হাসিনার সভা ও আমাদের বিভিন্ন জনসভায় বোমা হামলা হয়েছে। শেখ হেলালের জনসভায় হামলা করে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। কিবরিয়া সাহেব, আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় হামলা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে পুরো রাজশাহী বিভাগ জুড়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সরকারের সাফল্য তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এতে মানুষ উৎসাহিত হবে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দেবে।

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, ২৯ তারিখে যে জনসভা হতে যাচ্ছে, সে দিন রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। সমাবেশ মাঠে হবে, কিন্তু পুরো শহরই সে দিন সমাবেশে পরিণত হবে। লাখ লাখ লোক হবে।

আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে ও অন্যান্যের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।