আমেরিকার নাম মুখ ফসকে বলে ফেললেন ইমরান খান!
নাম উল্লেখ করবেন না, করবেন না বলেও ‘মুখ ফসকে’ আমেরিকার নাম বেরিয়ে গেল। আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একটি চিঠি দিয়েছে বলেও পরক্ষণই মুখ সামলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আমি নাম নিতে পারব না।’
বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই কাণ্ড করেন ইমরান খান।
তিনি অভিযোগ করেন, তার জোট সরকারকে উৎখাত করতে বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র করছে।
যা একটি দেশের দূতের মাধ্যমে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ইমরান খান বলেন, ‘অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার আগেই সেই চিঠিতে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল। এর অর্থ হল যে ওদের সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্ক আছে।’
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই দেশ হুমকি দিয়েছে যে যদি ইমরানের সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকে, তাহলে পাকিস্তানকে ‘কঠিন’ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
এ সময় কোনও দেশের নাম ফাঁস করবেন না বললেও ‘মুখ ফসকে’ আমেরিকার নাম বলে ফেলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা…ওহ, না, আমেরিকা নয়। একটা অন্য দেশ (হুমকি চিঠ) পাঠিয়েছে। যে দেশের নাম আমি বলতে পারব না।
আমি বোঝাতে চেয়েছি যে বিদেশ থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি।’
যদিও বুধবারই আমেরিকার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে কোনও মার্কিন এজেন্সি বা কর্মকর্তা ইসলামাবাদকে কোনও চিঠি পাঠায়নি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে দ্য ডনের একটি প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র অধিদফতের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এসব অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।’
এক নজরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কী বললেন ইমরান খান?
১. মীরজাফর এবং মীর সাদিক কারা ছিলেন? তিনি (মীরজাফর) ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলা দখল করেছিলেন। ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিরাজদৌল্লাকে মেরে ফেলেছিলেন।
নিজের স্বার্থের জন্য নিজের সম্প্রদায়ের মানুষকে পরাধীন করেছিলেন। অপরজন (মীর সাদিক) ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিপু সুলতানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।
২. দেশকে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। আমাদের যে সদস্যরা বিরোধীদের দিকে গিয়েছেন, তাদের বলছি যে আপনাদের উপর চিরকালের জন্য বিশ্বাসঘাতকের দাগ পড়ে যাবে।
৩. ২০-২৫ কোটি রুপি দিয়ে ‘বিদ্রোহীদের’ কেনা হয়েছে। তাতে দেশের যুব সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
৪. ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমি তারপর আরও শক্তিশালী হয়ে সামনে আসব। যাই ফলাফল হোক না। আমি চাই যে (রবিবার) আমার পুরো সম্প্রদায় দেখুক যে কারা দেশকে নিয়ে ব্যবসা করছেন।
৫. মানুষের সেবা করতে আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। আমি ভাগ্যবান যে আল্লাহ আমায় খ্যাতি, অর্থ সবকিছু দিয়েছেন। আমি যখন রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমার তিনটি লক্ষ্য ছিল – বিচার সুনিশ্চিত করা, মনুষ্যত্ব এবং আত্মনির্ভরতা।
সূত্র: দ্য নিউজ পিকে, জিও টিভি, ডন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন