আমেরিকার স্কুলে ধর্মগ্রন্থ পড়া বন্ধ হয়েছিল যে মামলায়
উনিশ শ পঞ্চাশের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যে নিয়ম ছিল সব স্কুলে ছাত্রদের বাইবেল পড়তেই হবে। এর প্রতিবাদ জানাতে একটি ছাত্র একদিন ক্লাসে বাইবেলের পরিবর্তে কোরান পড়তে শুরু করেছিলেন।
এলেরি শেম্প নামের একটি ছাত্রের মনে হয়েছিল, তিনি যেহেতু প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস করেন না – তাই তাকে কেন বাইবেল পড়তে বাধ্য করা হবে? বিশেষ করে আমেরিকার সংবিধানে যেখানে রাষ্ট্র ও ধর্মকে সম্পূর্ণ পৃথক করা হয়েছে, তাই অন্য ধর্ম বাদ দিয়ে শুধু খ্রীষ্টান ধর্মগ্রন্থ পড়ানোটাও তো সংবিধানের লংঘন !
এ ব্যাপারটা এলেরি শেম্পকে এতই পীড়া দিতে লাগলো যে তিনি এ নিয়ে একটি মামলা করলেন, এবং সেই মামলার রায়ের ফলে পেনসিলভানিয়ায় স্কুলে বাইবেল পড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
১৯৫৮ সালের আগস্ট মাসে আদালতে সেই রায় হয়েছিল। এ ছিল এমন একটি রায় – যা সেদেশের রাজনীতি ও সংবিধানের একেবারে কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছিল। সেই প্রশ্নটি হচ্ছে রাষ্ট্র ও ধর্মের পৃথকীকরণ।
এর শুরু হয়েছিল ১৬ বছরের কিশোর এলেরি শেম্পকে দিয়েই – যিনি স্কুলে বাইবেল পড়তে অস্বীকার করেছিলেন। ।
ফিলাডেলফিয়া শহরের উপকণ্ঠে খুব সাধারণ এক পরিবারে তার জন্ম। তার বাবার ছিল ছোটখাটো এক ইলেকট্রনিকসের ব্যবসা। তারা ছিলেন ইউনিটারিয়ান – খ্রীস্টান ধর্মের একটি উদারপন্থী সম্প্রদায়ের অংশ।
স্কুলে বাইবেল পড়ানোর মধ্যে যে একটা সমস্যা আছে, সেটা শেম্প নিজেই খেয়াল করেছিলেন।
বিবিসির ইতিহাসভিত্তিক অনুষ্ঠান উইটনেসে সেই কাহিনি বলেছেন এলেরি শেম্প ।
বিবিসির ক্লেয়ার ব্রাউনকে তিনি বলছিলেন, পেনসিলভানিয়ার আইনে বলা ছিল, প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিন ক্লাসের শুরুতে ছাত্রদের পবিত্র বাইবেলের ১০টি শ্লোক পড়তেই হবে। তা ছাড়া আমরা ইতিহাস , সমাজবিজ্ঞান, এগুলো পড়তাম। আমেরিকান সংবিধানও পড়তাম। সেই সংবিধানে একটা বাক্য ছিল – কংগ্রেস ধর্ম সংক্রান্ত কোন আইন করবে না ।
“সংবিধানের এই বাক্যাংশটির আরো একটা অর্থ হচ্ছে, রাষ্ট্রের কাছে কোনো একটি ধর্ম অন্য ধর্মের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে না। এটিই ছিল মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর অংশ – যা নাগরিকদের যে কোন ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করে।
সার্বিকভাবে এর মূল ভাবনাটি হচ্ছে রাষ্ট্র আর ধর্মের পৃথকীকরণ। কংগ্রেস এবং সাধারণভাবে সরকার বা কোন স্থানীয় সরকার – এমন কোন আইন করতে পারবে না যাতে কোনো একটি ধর্মকে অন্য কোনো ধর্মের ওপরে স্থান দেয়া হয়। একই সংগে রাষ্ট্র যেমন বিশেষ কোন ধর্ম বা কোনো মতাদর্শকেও সমর্থন করতে পারবে না।
” তাই যদি হয়, তাহলে তার স্কুল যে সব ছাত্রকে প্রতিদিন সকালে বাইবেলের দশটি শ্লোক পড়তে বা শুনতে বাধ্য করছে – এটাও তো আইনসম্মত হতে পারে না” – ভাবলেন এলেরি।
“এটা আমাকে খুবই পীড়া দিতে শুরু করলো। এতে যে গীর্জা এবং রাষ্ট্রের পৃথকীকরণের বিধান লংঘিত হচ্ছে, শুধু সেই জন্যে নয় – এতে তো সবার জন্য সমান নীতিও রক্ষিত হচ্ছে না। বিশেষ করে বড়দিন বা ইস্টারের সময় বাইবেলের যে সব অংশ পড়া হতো – তা ছিল স্পষ্টভাবেই ধর্মীয়, এবং অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো ছিল ইহুদিবিরোধী।”
“আমাদের ক্লাসে ইহুদি ছাত্রছাত্রী ছিল। আমি ভাবতাম – এসব কথা শুনে তারা নিশ্চয়ই খুবই অস্বস্তি বোধ করছে। তাদের সাথে আমি কথা বললাম। তারা আমাকে বললো যে হ্যাঁ তারা অস্বস্তিবোধ করেছে। সে সময় স্কুলগুলোতে খুব বেশি নাস্তিক বা মুসলিম ছিল না। কিন্তু একটি স্কুলকে যে সবার প্রতি সমান আচরণ করতে হবে – সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হতো।”
এলেরি ঠিক করলেন যে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ১৯৫৬ সালের নভেম্বর মাসের এক সকালে তিনি একজনের কাছ থেকে ধার করা এক কপি কোরান হাতে নিয়ে স্কুলে গেলেন।
“তখন আমি কোরান বা ইসলাম সম্পর্কেও কিচুই জানতাম না। আমি শুধু একটা জিনিসই দেখাতে চেয়েছিলাম যে বাইবেল ছাড়াও পৃথিবীতে আরো পবিত্র গ্রন্থ আছে । স্কুলে যখন বাইবেল পড়া হতো সে সময়টায় একটা সম্মান-প্রদর্শনসূচক পরিবেশও তৈরি করা হতো। ছাত্রদের টেবিল থেকে তখন অন্য সব রকম বই পুস্তক সরিয়ে ফেলতে হতো, এবং বাইবেল পাঠ শুনতে হতো খুব মন দিয়ে। এর পর উঠে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা এবং জাতীয় পতাকার প্রতি স্যালুট দিয়ে সম্মান জানাতে হতো।”
“তো আমি করলাম কি, বাইবেল যখন পড়া হচ্ছে তখন আমি কোরান খুলে বসলাম, এবং মনে মনে পড়তে লাগলাম। যখন ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনা করা হচ্ছে তখন আমি উঠে দাঁড়ালাম না। তখনই ব্যাপারটা সবার চোখে পড়লো, যে আমি কি করছি।”
” প্রার্থনার পর ক্লাসের শিক্ষক আমার কাছে এলেন। বললেন, তুমি নিশ্চয়ই জানো যে তোমাকে স্কুলের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। আমি বললাম, এটা একটা ধর্মীয় অনুভুতির ব্যাপার, আমি এখন থেকে আর এই সকালবেলার বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে পারবো না।”
” শিক্ষক এর জবাবে কি বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। তিনি আমাকে স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে পাঠালেন। তিনিও অবাক হয়ে গেলেন। বললেন, দ্যাখো, এটা একটা সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপার। এই স্কুলে ১৩শ ছাত্রছাত্রী আছে, তারা সবাই সম্মান দেখাচ্ছে। তুমি কেন পারবে না? আমি জবাব দিলাম, এখানে একটা নীতিগত প্রশ্ন আছে যা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যক্ষ ভাবলেন, আমি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত একটি তরুণ। তিনি আমাকে স্কুলের মনোবিজ্ঞানীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ভদ্রলোক ভাবলেন আমি হয়তো কর্তৃপক্ষের সাথে কোনো গোলমাল বাধিয়ে বসেছি, বা আমার বাবা-মায়ের সাথে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে। আমি তাকে জানালাম, মোটেই তা নয়, বরং আমার বাবা-মা এ ক্ষেত্রে আমাকে সমর্থন করবেন।”
সত্যিই এলেরির বাবা-মা তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এলেরির বাবা ছেলেকে পরামর্শ দিলেন যে সে যেন আমেরিকান নাগরিকদের অধিকার সংক্রান্ত সিভিল লিবার্টি ইউনিয়নের কাছে একটি চিঠি লেখে। তিনি তাই করলেন।
চিঠিতে তিনি লিখলেন: “মহোদয়, এ্যাবিংটন সিনিয়র হাই স্কুলের একজন ছাত্র হিসেবে – ইউনিয়ন এ ক্ষেত্রে, এবং/অথবা পেনসিলভানিয়ার যে আইনে দৃশ্যত অসাংবিধানিকভাবে আমাদের স্কুলে বাইবেল পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে – সাংবিধানিক বৈধতা পরীক্ষা দেখার ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা – সে ব্যাপারে আমাকে কোন তথ্য জানালে আমি বাধিত হবো। পেনসিলভানিয়ার আমেরিকান তরুণদের যে ধর্মীয় অধিকার – যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা হয়েছে – তার এই গুরুতর লংঘনের হাত থেকে তাদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনারা কোন সহায়তা দিতে পারলে তার জন্য আমি অগ্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার বিশ্বস্ত, এলেরি শেম্প।”
“চিঠির সাথে আমি দশ ডলারের একটি নোটও পাঠিয়েছিলাম। এটা একটা তা’পর্যপূর্ণ ব্যাপার ছিল। কারণ সেই উনিশশ ছাপ্পান্ন সালে এসিএলইউ-এর হাতে অত টাকাপয়সা ছিল না, আর ১০ ডলার মানে অনেক টাকা। আজকের দিনে প্রায় ১০০ ডলারের সমান হবে। তাই তারা নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন যে এই তরুণ যদি তার হাতখরচের টাকা থেকে ১০ ডলার জমিয়ে থাকে, তাহলে সে নিশ্চয়ই কোন তামাশা করছে না।”
এসিএলইউ শেষ পর্যন্ত এলেরি এবং তার পরিবারকে সমর্থন দিলো। একসাথে মিলে তারা এ্যাবিংটন স্কুল ডিস্ট্রিক্টএর বিরুদ্ধে মামলা করলেন। ১৯৫৮ সালের আগস্টের ৫ তারিখ কোর্টে সেই মামলা উঠলো। সেদিন আবার ছিল এলেরির ১৮তম জন্মদিন। পুরো দিনটি তিনি আদালতেই কাটিয়ে দিলেন, এই মামলার শুনানীতে তিনি বললেন তার স্কুল তাকে বাইবেল শুনতে বাধ্য করে তার অধিকার লংঘন করেছে – যে বাইবেলে তিনি নিজেই বিশ্বাস করেন না।
“আমি কোন যাদুমন্ত্রে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি না যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে কিছু চাইলে – পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের নিয়ম লংঘন করে তা পূরণ করা কখনোই সম্ভব না। আমার মনে হয় এমনকি বাস্তব জগত সম্পর্কেও এখানে শেখার কিছু নেই। ধারণা করা হয়, বাইবেলে অন্তত দশ লক্ষ লোককে হত্যা করার কথা আছে। এর মধ্যে আছে খুন, গণহত্যা, এবং ধর্ষণের ঘটনা -যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে ঈশ্বরের অনুমোদন পেয়ে গেছে বলে বাইবেল নিজেই বলছে । স্কুলে পালনীয় ধর্মীয় বিধিবিধানগুলো যে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে – তা ব্যাখ্যা করতে আমার কোনো অসুবিধাই হয় নি।”
“কিন্তু এই চাপিয়ে দেবার ব্যাপারটা তো আদালতে প্রমাণ করতে হয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ – কারণ যদি আপনি একটি ধর্মকে অন্য কোন ধর্মের ওপরে স্থান দেন তাহলে কি হচ্ছে? এই রাষ্ট্রে তো একজন ধরুণ বৌদ্ধর্মাবলম্বীও কর দিচ্ছে। সেই করের টাকা যদি খ্রীস্টান ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের জন্য খরচ করা হয়, তাহলে তো সেখানে সবার প্রতি সমান আচরণ করা হলো না। এবং এটা তো একটা সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। একটা রাষ্ট্রে সব রকমের ধর্মবিশ্বাসই থাকতে পারে – কিন্তু সরকার তার কোন একটিকে সমর্থন করতে পারে না।”
এলেরি এবং এসিএলইউ স্কুলের বিরুদ্ধে তাদের মামলায় জিতে গেলেন। এবং তার প্রতিক্রিয়াও হলো সঙ্গে সঙ্গে।
“আমার পরিবার প্রায় পাঁচ হাজার চিঠি পেলো। সে ছিল বড় মজার ব্যাপার। কারণ অনেকেই খামের ওপরে ঠিকানা লিখেছিল, প্রাপক: পেনসিলভানিয়ার রসমন্ডের নাস্তিক। পোস্ট অফিসের কাছে এটুকুই ছিল যথেষ্ট। এই পাঁচ হাজার চিঠির মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ছিল আমাদের সমর্থন করে লেখা। আরো এক তৃতীয়াংশ ছিল আমাদের বিরুদ্ধে, তবে তারা যুক্তি দিয়ে বিরোধিতা করেছিল। বাকিরা ছিল ঘৃণাবিদ্বেষে পরিপূর্ণ।”
” কোনো কোন চিঠিতে বিষ্ঠা মাখিয়ে দেয়া হয়েছিল। একটা চিঠিতে লেখা ছিল, ‘যীশুর নাম নিয়ে নরকে যা’। আরেকটাতে লেখা ছিল, ‘কমিউনিস্ট চীনে চলে যা, ওখানে কোনো বাইবেল-টাইবেল নেই’।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলো। ১৯৬৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই মামলার শুনানি হলো। এলেরির পক্ষের আইনজীবী বললেন, স্কুলে বাইবেল পড়ানো কোন ধর্মীয় রীতি নয়, শিক্ষামূলক রীতি।
“স্কুল কতৃপক্ষ এর জবাব দিতে গিয়ে খুব অসুবিধেজনক পরিস্থিতি পড়েছিল, কারণ তাদের যুক্তি দিতে হচ্ছিল যে বাইবেল আসলে ঠিক ধর্মগ্রন্থ নয়, একটি শিক্ষামূলক গ্রন্থ । আর প্রার্থনা করাটাও ধর্মীয় কাজ নয় বরং নৈতিক শিক্ষা দেবার একটা উপায়। কিন্তু আমাদের আইনজীবীরা এসব যুক্তি খুব সহজেই উড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন।”
আইনজীবীরা বললেন, এই যে সর্বক্ষণ ধরে ধর্মীয় ঐতিহ্যের’ কথা বলা হচ্ছে – এটা হচ্ছে একটা চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যের দৃষ্টান্ত। বাইবেল নিশ্চয়ই ধর্মীয় ঐতিহ্য, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কার ধর্মীয় ঐতিহ্য?
১৯৬৩ সালের ১৭ই জুন সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ অঙ্গরাজ্যের আইন এর ফলে বদলে গেল। কারণ সব রাজ্যে স্কুলে বাইবেল পড়া ও প্রার্থনার রীতি ছিল না। প্রায় ৩০টি রাজ্যে কোন না কোন আইনে এই এ্যাবিংটন রায়ের প্রভাব পড়লো।
এলেরি শেম্প পরে তার তার কেরিয়ার গড়েন বিজ্ঞানের জগতে। তার সেই স্কুল পরে তাকে তাদের সেরা গ্রাজুয়েটদের একজন হিসেবে হল অব ফেমে স্থান দিয়েছে।
-বিবিসি বাংলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন