আরব আমিরাতে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন সাকিব!

সাকিব আল হাসানের আঙুলের ইনজুরি কিছুদিন আগেও ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। তিনি নিজেই অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলেন, ‘আর কখনোই শতভাগ ঠিক হবে না আঙুল।’ এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে জানলেন অস্ত্রোপচার করতে হবে না। চিকিৎসা নিয়েই খেলে যেতে পারবেন। দেশে ফেরার পর সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, ‘এখন তার আঙুলে শক্তি ফিরে পাওয়াই মূল কাজ।’

আঙুলে ইনজুরির কারণে চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে পারছেন না সাকিব। এমনকি এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারবেন কি-না সে সম্পর্কেও দ্বীধা-সংশয় রয়েছে। বিসিবি খুব সতর্ক সাকিবের ব্যাপারে। সামনেই বিশ্বকাপ। সুতরাং, কোনো ঝুঁকি তার ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি নেবে না বলেই জানিয়েছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।

এরই মধ্যে হঠাৎ তোলপাড় করা খবর, সাকিব আল হাসান আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য বিসিবির কাছে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) চেয়েছেন। যিনি কি-না ইনজুরির জন্য জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারছেন না, যাকে নিয়ে এতটা সতর্ক বিসিবি, যিনি এখনও ইনজুরি থেকে সেরে ওঠেননি, তিনিই কি-না অনুমতি চেয়েছেন বিদেশি একটি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলার জন্য।

কয়েকদিন আগে যখন সর্বপ্রথম জাগো নিউজে এই খবর প্রকাশিত হয়, তখন এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিসিবির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছিল, সাকিবকে অনুমতি দেবে না বিসিবি। অথচ এবার সেই আকরাম খানই জানিয়েছেন, সাকিবকে আরব আমিরাতে খেলার অনুমতি দিতে পারে বিসিবি।

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির এই অন্যতম পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘মেডিকেল প্রতিবেদন দিবে, সেটা ইতিবাচক হলে তাকে আমরা এনওসি দিয়ে দিচ্ছি।’

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে সাকিব জানিয়েছিলেন, অন্তত তিনমাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর তিনি জানিয়েছেন, আঙুলের ব্যথা ভালো হলে এক মাসের মধ্যেও খেলার মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। আকরাম খান জানিয়েছেন, সাকিবের আপাতত ব্যাথা নেই। এমনকি আগামী এক বছরও অস্ত্রোপচার করানো যাবে না তার আঙুলে। তিনি বলেন, ‘এক বছরের মধ্যে সাকিব অস্ত্রোপচার করতে পারবে না। আপাতত ব্যথাও নেই। মেডিক্যালি যদি সে ফিট থাকে, তাহলে খেলতে পারবে।’

আকরাম খান আরও একটি আশাবাদী কথা শুনিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই ফিরতে পারেন সাকিব এবং তামিম- দু’জনই। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই হয়তো তাদেরকে পাবো। এমনই আশা করছি। হয়তো শুরু থেকেই পাবো না, তবে আশা করছি পাবো।’