আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার উত্তম সময়


আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে অন্যতম তাওবা ইসতেগফার করা। তাওবা ইসতেগফার অন্যতম ইবাদত হওয়ার কারণ হলো ইসতেগফারের কারণে গোনাহ মাফ হয়; বৃষ্টি বর্ষণ হয়; সন্তান ও সম্পদ দ্বারা উপকার পাওয়া যায়। সর্বপরি পরকালীন জীবনে চিরস্থায়ী জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা সুরা নুহ-এ মানুষকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আর (নুহকে) বলছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষন করবেন। আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য দেবেন বাগ-বাগিচা তথা জান্নাত এবং তোমাদের জন্য তৈরি করবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)
মানুষ ভুল-ত্রুটিমুক্ত নয়। যে কোনো কাজেই ভুল-ত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। কাজেই সব সময় ভুল-ত্রুটি থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করাই উত্তম। আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে ধাবমান হও; যার প্রশস্ততা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ন্যায়। যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকি তথা আল্লাহ ভিরুদের জন্য। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা রাগ সংবরণকারী আর মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। আল্লাহ নেককারদেরকে ভালবাসেন। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৩-১৩৪)
আল্লাহ তাআলা সব-নবি রাসুল ও তাঁদের অনুসারিদেরকে ইসতেগফারের নির্দেশ দিয়েছেন। আর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার অন্যতম মাধ্যমও তাওবা ইসতেগফার করা। কারণ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেগোনাহ মা’ছুম তথা নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তাওবা করতেন।
তাওবা ও ইসতেগফারের সময়
আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময়ই ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। তবে গোনাহের কোনো
কাজ করে ফেললে তখন সঙ্গে সঙ্গে তাওবা-ইসতেগফার
তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা ওয়াজিব বা আবশ্যক।
আবার নেক আমল বা ভালো কাজ করার পর ইসতেগফার তথা
ক্ষমা প্রার্থনা করা মোস্তাহাব। যেমন- প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সালাম ফেরানোর পর
আল্লাহর প্রশংসা ও ইসতেগফার করা; হজ সম্পাদনের পর হামদা ও ইসতেগফার করা।
ইসতেগফারের ফজিলতপূর্ণ সময়
গভীর রাতে যখন মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন তখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা
কান্নাকাটি করায় অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারী বান্দারা
অধিকাংশই রাতের বেলায় নামাজ ও ইসতেগফারের মাধ্যমেই অতিবাহিত করে।
আবার সেহরির সময় ইসতেগফার করা ফজিলত বেশি এবং তা মোস্তাহাব।
কারণ আল্লাহ তাআলা এ সময় ইসতেগফারকারীদের প্রশংসা করেছেন।
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব পুরুষ এবং নারীদেরকে দুনিয়া ও পরকালের সফলতায় বেশি বেশি তাওবা ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে গোনাহ বা অন্যায় কাজ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ইসতেগফার করার তাওফিক দিন। রাতের বেলায় তথা শেষ রাতে সেহরির সময় ইসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দিন। আমিন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন