আসিক হত্যা মামলায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মৎস্যজীবি লীগের নেতা আনোয়ার গ্রেফতার

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশিকুর রহমান আশিক হত্যা মামলার আসামি কথিত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফ (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার রাতে মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন সাংবাদিক হয়রানি, চাাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।

আনোয়ার হোসেন আরিফ চর ভূরুঙ্গামারী হুচারবালা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। আনোয়ার হোসেন জেলা মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ম আহবায়ক।

মঙ্গলবার সকালে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আশিক হত্যা মামলায় জেলার তিন সাংবাদিক ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ ১০৪ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

মামলায় শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি করেন। রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত আশিক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে এবং উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন আশিক ও তার ছোট ভাই আতিকুর রহমান মিছিলে গিয়েছিলেন। পরে আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হলে প্রথমে বাসায় আসেন। পরে আঘাতের ব্যাথায় বমি করলে ১৮ আগস্ট প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে ১ সেপ্টেম্বর আশিক মারা যান।

ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায জড়িত আনোয়ার হোসেন। আশিক হত্যা মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম ডিবির ওসি কামাল হোসেন বলেন, ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত অজ্ঞাত আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিক হয়রানিসহ তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।