ই-পাসপোর্ট সেবায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম কোন দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেচেন, “আমরা ই-পাসপোর্ট সেবায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। প্রতিবেশী অনেক দেশে এ সেবা চালু নেই। বিশ্বমানের ই-পাসপোর্ট তৈরির জন্য আমরা জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করেছি। ই-পাসপোর্ট গ্রাহকের ভোগান্তি কমাবে। বাসায় বসে সহজে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। ই-পাসপোর্টের কারণে অনেক দেশে অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে। ই-পাসপোর্ট সেবার আওতাভুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশ ১১৯তম দেশ।”

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ছয়টি জেলায় এ সেবার উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “খাগড়াছড়িসহ ছয়টি জেলার আঞ্চলিক অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম চালু করার মাধ্যম বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট সেবার আওতায় এসেছে। দেশের ৭২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে এখন থেকে এ সেবা পাওয়া যাবে। এরইমধ্যে দেশের এক লাখ ১০ হাজার গ্রাহক ই-পাসপোর্ট পেয়েছে। আরও দুই লাখ গ্রাহককে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।”

খাগড়াছড়িসহ দেশের ছয়টি জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে পুরো দেশ এ সেবার আওতায় আনা হয়। জেলাগুলো হলো- খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর। এ সময় জেলাগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট দেওয়ার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করেন। এজন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। চুক্তি অনুসারে তিন কোটি ই–পাসপোর্ট সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো, এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়।