ইউরোপে স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা নেই, দেশে আছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধু সরকারি ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নয়, গ্রামে-গঞ্জে সবখানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে এক তৃতীয়াংশ নারী সদস্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সন্তান জন্মের পর আগে অভিভাবকের জায়গায় শুধু পিতার নাম লেখা হতো, এখন মায়ের নামও লেখা হয়। বাংলাদেশের নারীরা কখনো দাবি করেননি স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি (প্রধানমন্ত্রী) স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা চালু করেছেন। ইউরোপেও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা নাই। মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নারী উন্নয়নে যেসব ভাতা চালু করেছেন, তা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব। কারণ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। জনগণের ক্ষমতায়ন যদি করতে হয় নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। সেজন্য আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন।’
নারী উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যত কাজ করেছে, অন্য কোনো সরকার এই কাজ করেনি দাবি করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে আরো নেত্রী আছেন, তারা নারী উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। নারীর উন্নয়নের জন্য বিএনপি ও তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও কোনো কাজ করেননি। উনারা শুধু নিজের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেভাবে নারী উন্নয়ন হয়েছে, এটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কেউ ভাবেনি একজন মহিলা ডিসি-এসপি হবেন। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের অনেকগুলো ইউএনও হচ্ছে নারী, অনেক জেলার ডিসিও নারী। এবং তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে নারীর ক্ষমতায়ন শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন জনগণের রায়ে প্রথম সরকারের দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। তিনি হাইকোর্টের জজ নিয়োগ দিয়েছিলেন নারী, হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিও নিয়োগ দেন নারীকে। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ের নারীসচিব দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে গেলে মোবাইল ফোনে মায়ের কাছে উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে। নারীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের এই অবদান ভোটের সময়ও নারীদের মনে রাখতে হবে। এ দেশের নারী সমাজ যাতে ভোট এলে নৌকা প্রতীক ভুলে না যায়, সেজন্য গ্রামেগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন