ইউরোপের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় থাকছে হামাস
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সংগঠন হামাসকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় রাখা হবে বলে রায় দিয়েছে সংস্থাটির সর্বোচ্চ আদালত ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নস কোর্ট অব জাস্টিস’ (ইইউ বিচার আদালত)। তবে মামলাটি পুনরায় নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দিয়েছে তারা।
বুধবারের এই রায়ে বলা হয়, হামাস আপাতত ইউরোপের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় থাকবে, তবে মামলাটি আবারও নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপের একটি নিম্ন আদালতের রায়ে হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, ইউরোপের দেশগুলো স্বাধীন কোনো তদন্তের ভিত্তিতে নয়; বরং বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেটের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে এবং নিষেধাজ্ঞার আওতায় রেখেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোর্ট অব জাস্টিসের অ্যাডভোকেট জেনারেল এলিনর শার্পস্টোন হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘তালিকাভুক্তির ব্যাপারে যোগ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বদলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত আর্টিক্যাল এবং ইন্টারনেটের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে পারে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফিলিস্তিনি ওই রাজনৈতিক দলটিকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।’
২০০৬ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ফাতাহকে পরাজিত করে ২০০৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা শাসন করছে হামাস। সেখান থেকে ফাতাহকে উৎখাত করেছে তারা। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ফাতাহ বর্তমানে পশ্চিমতীর শাসন করছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে আল-কায়েদার হামলার পর হামাসের সম্পত্তি জব্দ এবং সংগঠনটির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি বলে শুরু থেকেই এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছে তারা। হামাস মনে করে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের অধিকার আছে তাদের।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন