ইবিতে চারা গাছ লাগানো যখন কোর্সের এসাইনমেন্ট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নিম, আকাশমণি, কাঁঠাল গাছ সহ বিভিন্ন ফুল ও ঔষধি গাছ লাগিয়েছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে দেখা যায় সদ্য লাগানো চারা গাছগুলোর সাথে প্লেকার্ডের মাধ্যমে গাছের নাম, বৈজ্ঞানিক নাম সহ বিভাগের নাম লিখে ঝুলিয়ে রাখতে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বনায়নে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে গাছ লাগানোর এসাইনমেন্ট দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক মোঃ নাছির মিয়া।
প্রভাষক মোঃ নাছির মিয়া বলেন, শুধু বইয়ের শিক্ষাটাই শিক্ষা নই। আমাদের বাস্তব জীবনের বাইরেও কিছু শিক্ষা অর্জন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে সারাবিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, এর প্রভাবে আমাদের বীচ পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, গরমের কারণে বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ফলশ্রুতিতে পর্যটক সংকটে পড়ে দেশের পর্যটন শিল্প তথা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশে প্রভাব পড়ছে। এই বিষয়সমূহ বিবেচনায়, আমি ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষক হিসেবে এসাইনমেন্টের মাধ্যমে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা সৃষ্টি এবং বনায়নের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের গাছ লাগাতে বলেছি।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির হাসান রবিন জানান, আমাদেরকে স্যার যে এসাইনমেন্ট দিয়েছেন তা আমরা আনন্দের সাথেই করছি। আমাদের প্রত্যেক গ্রুপ থেকে সর্বনিম্ন ২টি করে গাছ লাগানোর কথা বলা হলেও আমরা ৩-৫ টি করে গাছ লাগিয়েছি। আমি মনেকরি, চলমান তাপদাহ ও পরিবর্তনশীল জলবায়ু থেকে রেহায় পেতে আমাদের জন্য এটি শুধু এসাইনমেন্ট নই বরং দেশের প্রতি একটি দায়বদ্ধতা।
উল্লেখ্য, গ্রুপ প্রতি ২টি করে ব্যাচের তেরোটি গ্রুপকে সর্বমোট ২৬ টি চারা গাছ লাগানোর এসাইনমেন্ট দেয়া হলেও ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় ৪০ এর অধিক সংখ্যক চারা গাছ লাগানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন