ইবিতে নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তদন্ত কমিটিতে ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান ও ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মিথুন বৈরাগী।
অভিযোগ সূত্র মতে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২২ সেপ্টেম্বর তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। ওরিয়েন্টেশন শেষে একই বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী তাকে বিভিন্নভাবে র্যাগিং করে। তাহমিন অভিযোগ করে বলেন তাকে হাত-পা সোজা করে পরিচয় দিতে বাধ্য করা, গালিগালাজ ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় আবার তাহমিনকে ডেকে নেয় কিছু শিক্ষার্থী। সাদ্দাম হোসেন হলের বিপরীতে রাত দশটা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। এছাড়াও গত ৩ ও ৫ সেপ্টেম্বর তাকে বিভিন্নভাবে র্যাগিং করা হয়। এই পুরো ঘটনার জন্য তিনি একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব, শুভ, মিজানুর ইমন, পুলক ও সাকিব জড়িত বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে একজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে তাহামিনের বাবা শওকত ওসমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর ইমেইল পাঠিয়ে এসব অভিযোগ করেন। পরে দুপুরে অভিযোগের একটি কপি রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়।
ওই মেইলে ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মাননীয় হাইকোর্ট ঘোষণা করেছেন যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং আইনত নিষিদ্ধ এবং কেউ এটি করলে শাস্তি পাবে এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল হবে। অথচ আমার ছেলে গত সপ্তাহে ভর্তি হয়ে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে এবং তার সাথে থাকা ৭-৮ জনও র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য ডেকে তাদের ক্রিকেট খেলার সময় পানি বহন করিয়ে নেয়, মা-বাবাকে নিয়ে গালিগালাজ করে, মোবাইল চেক করে, এছাড়া আরও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এর ফলে আমার ছেলে ভয় পেয়ে রাতে ঘুমাতে পারেনি।
রেজিস্ট্রার বরাবর ওই মেইলে ভুক্তভোগীর বাবা রেজিস্ট্রারের কাছে সাহায্য চান এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ জানায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন