ইবিতে মেডিকেলে ভাংচুর ও র্যাগিং এর ঘটনায় ছয়জন বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং ও মধ্যরাতে মেডিকেলে ভাংচুর ও কর্তব্যরত কর্মচারীদের হেনস্তার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বাকি তিনজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
তিনি বলেন, মেডিকেলে ভাংচুর ও হামলা ও র্যাগিং এর ঘটনায় অভিযুক্তদের উপর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কোড অফ কন্ডাক্টের ৪ ও ৫ ধারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য দুইজন সরাসরি জড়িত না থাকায় সতর্ক করা হয়েছে।
মেডিকেলের ঘটনায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সালমান আজিজ ও আতিক আরমানকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাগিং এর ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজির শুভকে স্থায়ী ও শাহরিয়ার পুলক, সাদমান সাকিব আকিব, ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিবকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর দফায় দফায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, হিশাম নাজির শুভ, সাদমান সাকিব আকিব, ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিব। এ ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী তার পরিবারকে জানালে গত ৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ জানিয়ে একটি মেইল করেন। পরে ৯ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে ছেলেকে দিয়ে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়াও গত ১০জুলাই মাদকাসক্ত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের মারধর এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠে আইন বিভাগের ছাত্র রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য, সালমান আজিজ ও আতিক আরমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন