ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৭ হাজার ১৩৮টি অভিযোগ
ডিজিটাল বাংলাদেশে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে ই-কমার্স খাত প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা করার সম্ভাবনার দুয়ারে আজ অবিশ্বাসের ছোঁয়া লেগেছে। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে আসছিল ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। শেষমেষ এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার লাগাম টানতে শুরু করেছে সরকার।
নাজমুল হোসেন ইভ্যালি থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে বাটার তিনটি গিফট ভাউচার কেনেন গত ১ মে। পুরো টাকা নগদের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তার অর্ডার গ্রহণ করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রসেস করার কথা থাকলেও ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও খবর নেই। বারবার ইভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করেও সমাধান পাননি তিনি। আর রিফান্ড চাওয়ার কোনও অপশন না থাকাতেও পড়েছেন বিপাকে। নাজমুল হোসেনের মতো হাজারও গ্রাহক ভোগান্তির স্বীকার।
২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ই-কমার্স খাতে ১৯ হাজার ৩০৪টি অভিযোগ দায়ের হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। শীর্ষে আছে ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৭ হাজার ১৩৮টি অভিযোগ জমা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪৯৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে জানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, পণ্য সময়মতো না পাওয়ার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। এক পণ্যের পরিবর্তে অন্য পণ্য দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত এবং শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করছে অধিদপ্তর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন