ইমরান খানের অবস্থা স্থিতিশীল, ৩ জনকে সন্দেহ, পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরানের নেতৃত্বাধীন লংমার্চে গতকাল বৃহস্পতিবার গুলির ঘটনা ঘটে। ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। পায়ে গুলিবিদ্ধ ইমরানকে লাহোরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর স্বাস্থ্যবিষয়ক সহকারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন চিকিৎসক ফয়সাল সুলতান। তাঁর বরাত দিয়ে ডন বলছে, পিটিআই চেয়ারম্যানের ডান পায়ে গুলি লেগেছে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

ফয়সাল সুলতান বলেন, এক্স-রে ও স্ক্যানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরানের পায়ে গুলির কয়েকটি টুকরা রয়েছে।আজ শুক্রবার পিটিআই নেত্রী চিকিৎসক ইয়াসমিন রশিদ বলেন, ইমরানের এক পায়ে দুটি গুলি লেগেছে।পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশি টুইট করে বলেন, দলীয় প্রধান ইমরান এখন শঙ্কামুক্ত।শাহ মাহমুদ আরও বলেন, এই হামলা শুধু ইমরান খানের ওপরই নয়, এটা গোটা পাকিস্তানি জাতির ওপর হামলা।

এদিকে লংমার্চ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পিটিআইয়ের ছাত্রসংগঠন ইনসাফ স্টুডেন্টস ফেডারেশন। ইমরানকে উদ্ধৃত করে এক টুইটে তারা বলেছে, আজ বেলা ১১টা থেকে লংমার্চ শুরু হবে। আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তানের লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে দ্বিতীয় দফা লংমার্চ শুরু করেন ইমরান। লংমার্চ গতকাল পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে পৌঁছালে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এই ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, আহত কয়েকজন। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লং মার্চের বহরে ঢুকে ইমরান খানকে গুলি করেন সন্ত্রাসীরা। আহত ইমরানকে ধরে নিচ্ছেন তাঁর দলের নেতারা
পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে গত এপ্রিলে ক্ষমতা হারান ইমরান। তার পর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে কর্মসূচি পালন করে আসছে তাঁর দল।

গত ২৫ মে পিটিআই প্রথমবার লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোট ও পুলিশের বাধায় কর্মসূচি সহিংস হয়ে উঠলে তা স্থগিত করেন ইমরান। হত্যাচেষ্টায় ৩ জনকে সন্দেহ গতকাল বৃহস্পতিবার লংমার্চ কর্মসূচি চলাকালে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক ব্যক্তি। তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। ইমরান খান বর্তমানে শঙ্কামুক্ত এবং তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গুলির ঘটনায় আজ শুক্রবার দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দলটি। ইমরান খানের দাবি মেনে না নেওয়ায় জুমার পর এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। খবর ডন ও জিও নিউজের। পিটিআই মহাসচিব আসাদ উমর শুক্রবার এক টুইটে এই বিক্ষোভের ঘোষণা দেন। তিনি লিখেন, ‘ইমরান খানের দাবি না মানা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।’ আগের দিন এক ভিডিও বক্তব্যে আসাদ উমর বলেছিলেন, হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন ইমরান খান।
দলের নেতা মিয়া আসলাম ইকবালকে পাশে নিয়ে পিটিআই মহাসচিব আরও বলেন, ‘ইমরান খান বলেছেন, তাঁর কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল, এই লোকগুলো তাঁকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।’

পিটিআই চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ ওই সামরিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণেরও দাবি জানান আসাদ উমর। অন্যথায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার লংমার্চ কর্মসূচি চলাকালে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক ব্যক্তি। তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। ওই হামলার ঘটনায় পিটিআইয়ের আরও কয়েকজন নেতা আহত হন।
লং মার্চের বহরে ঢুকে ইমরান খানকে গুলি করেন সন্ত্রাসীরা। আহত ইমরানকে ধরে নিচ্ছেন তাঁর দলের নেতারা ইমরান খান লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর স্বাস্থ্যবিষয়ক সহকারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন চিকিৎসক ফয়সাল সুলতান। আজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ইমরান খানের অবস্থা ‘স্থিতিশীল এবং তিনি ভালো আছেন’।

আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তানের লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে দ্বিতীয় দফা লংমার্চ শুরু করেন ইমরান। এর আগে গত ২৫ মে তাঁর দল পিটিআই প্রথমবার লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোট ও পুলিশের বাধায় কর্মসূচি সহিংস হয়ে উঠলে তা স্থগিত করেন তিনি। এরপর এক ভিডিও বক্তব্যে পিটিআই মহাসচিব আসাদ উমর বলেন, হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন ইমরান খান। দলের নেতা মিয়া আসলাম ইকবালকে পাশে নিয়ে আসাদ উমর বলেন, ‘ইমরান খান বলেন, তাঁর কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল, এই লোকগুলো তাঁকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।’

পিটিআই চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ ওই সামরিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানান দলটির মহাসচিব। অন্যথায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আসাদ উমর বলেন, যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয়, দলের কর্মীরা ইমরান খানের ডাকের অপেক্ষায় আছেন; যখনই তিনি ডাক দেবেন, তখনই দেশজুড়ে বিক্ষোভ হবে।

এদিকে পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, এটা স্পষ্ট হত্যাচেষ্টা ছিল। ইমরান খান আহত হয়েছেন কিন্তু তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। লং মার্চের বহরে ঢুকে ইমরান খানকে গুলি করেন সন্ত্রাসীরা। আহত ইমরানকে ধরে নিচ্ছেন তাঁর দলের নেতারা
ফাওয়াদ চৌধুরী আরও বলেন, যদি অস্ত্রধারীকে লোকজন না আটকাত, তাহলে পিটিআইয়ে গোটা নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির রাজনৈতিক ও সরকারি নেতৃত্বের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীও। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।