ইরানকে ঠেকাতে সৌদির সমুদ্রসীমায় মার্কিন সেনা
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা এখন চরমে। অনেকেই মনে করছেন যেকোন সময় সংঘর্ষে জড়াতে পারে দেশদুটি। ইরানও তেমনি সংকেত দিয়েছে। তবে, ট্রাম্প বলেছেন- তিনি যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে চান।
এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সমুদ্রসীমায় সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ মার্কিন সেনা মোতায়েন ও সামরিক স্থাপনার অনুমোদন দিয়েছে।
সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যগুলো জানায়, ইরানের হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যে কয়েকটি আরবদেশের সমুদ্রসীমা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল, সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছে।
সৌদির প্রথমসারীর আরবি দৈনিক আশ-শারকুল আওসাত নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল, যেটিতে সৌদি আরবও অন্তর্ভুক্ত, উপসাগরীয় সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং এর ঘাটিসমূহ নিয়মিত ব্যবহার করতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুমতি দিয়েছে।
আরবদেশগুলোর বিরুদ্ধে ইরানের অব্যাহত ষড়যন্ত্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি রোধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি হিসেবে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এ যৌথ পদক্ষেপের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সব অপচেষ্টা নস্যাৎ হবে বলে দাবি করা হয় দেশটির পক্ষ থেকে।
সৌদি আরবের ওই কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইরানের ওপর আক্রমন বা কোনো যুদ্ধে জড়াতে উপসাগরীয় সীমান্তে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না, বরং একটি সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে কোনো হুমকির সম্মুখিন হলে যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় জোট এর মাধ্যমে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
ইরানের হুমকির বিষয়ে রমজানের শেষের দিকে আরব রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে মক্কায় একটি বিশেষ সম্মেলন করা হবে বলেও সৌদির পররাষ্ট্র সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন