ইসরাইলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র
অবশেষে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় গত অক্টোবরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর এবারই প্রথম এ সিদ্ধান্ত নিল বাইডেন সরকার।
গত সপ্তাহে ইসরাইলে অস্ত্র ও গোলাবারুদের যে চালানটি পাঠানোর কথা ছিল, সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরাইলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা।
ইসরাইলের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস স্থানীয় সময় রবিবার (৫ মে) প্রথম এই সংবাদ প্রকাশ করে। পরে ইসরাইল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট নিজেদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের আকস্মিক এ পদক্ষেপে উদ্বেগ বোধ করছেন ইসরাইলের কর্মকর্তারা। ঠিক কী কারণে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হলো তাও জানতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। কারণ, এই চালানটিতে জরুরি কিছু অস্ত্র আসার কথা ছিল।
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা এখনও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে কিছু বলছেন না বলে জানা গেছে। বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলকে শত শত কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক মাসে ইসরাইলকে যত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, তা গত কয়েক দশকেও দেওয়া হয়নি। শুধু হামাসই নয়, হিজবুল্লাহ ও ইরানকে মোকাবিলা করার জন্যও আমরা ইসরাইলকে সহায়তা দিয়েছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।’
মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইসরাইলকে গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়া হ্রাস করা, গাজায় ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশে বাধা না দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে ওয়াশিংটন, কিন্তু ইসরাইল সেসবে কর্ণপাত করেনি। সর্বশেষ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান চালাতে নিষেধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই নির্দেশনাও মানেনি ইসরাইল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীণ মন্ত্রিসভার ‘হুঁশ’ ফেরাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন