‘ইসিকে সঠিক নির্দেশনা দিন, স্মরণীয় হয়ে থাকবেন’
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন আপনার অধীনে। আপনি কমিশনকে সঠিক নির্দেশনা দেবেন এবং আমি আশা করি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শনিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুক্তফ্রন্টে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বুঝতে হবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কেউ এখন সরকারের অধীনে নয়, সুতরাং কমিশনকে তাদের একশভাগ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। না হলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাব, কিন্তু সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। নির্বাচনের ময়দানকে উঁচুনিচু রাখা চলবে না।’
সংবাদপত্রকে পূর্ণ স্বাধীন করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওর সাংবাদিকরা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তফ্রন্ট একটি শান্তি সুখের বাংলাদেশ চায়। যারা দাওয়াত দিয়ে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল, তাদের বক্ষ হিংসা ও ঘৃণায় আবদ্ধ। সেই জন্য তাদের গ্রহণ করি নাই।’
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। রক্তেভেজা পতাকা এবং মুক্তিযুদ্ধকে যারা স্বীকার করে না তাদের সঙ্গে আমরা রাজনীতি করতে চাইনি।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমরা কি ভুল করেছি? ঘৃণার রাজনীতির পরিবর্তে শ্রদ্ধার রাজনীতি করি। আমরা বাংলাদেশের স্বাপ্নিক পুরুষ বঙ্গবন্ধুকে যেমন শ্রদ্ধা করি তেমনি শ্রদ্ধা করি মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জিয়াউর রহমান, আফ্রো-এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকার গরিব মানুষের নেতা মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা ফজলুল হককে।’
বি. চৌধুরী বলেন, ‘নিমজ্জিত বাংলাদেশকে উদ্ধার করার জন্য যুক্তফ্রন্ট এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ এখন ঘৃণা, অশ্রদ্ধা ও হিংসায় ভরপুর।’
তিনি বলেন, ‘বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম রেজাকে সমাবেশস্থলে আসার পথে মিরপুরে তার প্রতিটি গাড়ি আটকে আক্রমণ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের পরিবেশ দূষিত করেছে ইতিহাস তাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না।’
যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন, যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম রেজা, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপি চেয়ারম্যান আলহাজ খোন্দকার গোলাম মোর্তুজা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, জন দল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্ট সভাপতি দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন, বিএলডিপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জনদল মহাসচিব সেলিম আহাম্মেদ, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মহসিন ভূঁইয়া, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, বিকল্পধারার সহ-সভাপতি মহামুদা চৌধুরী, শিপ্রা রহিম প্রমুখ।
যুক্তফ্রন্টে যোগ দেওয়া দলগুলো হচ্ছে- অধ্যাপক ডা. এমএ মুকিতের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, আবু লায়েস মুন্নার বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, সরদার শামস আল মামুনের নেতৃত্বাধীন গণ সংস্কৃতি দল, সালাউদ্দিন সালুর নেতৃত্বাধীন এনপিপি ও এনডিএফ জোট, বাংলাদেশ শরীয়া আন্দোলন।
এ ছাড়া বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ঢাকা বার ও মেট্রোবারের ২৫ জন আইনজীবী বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন