ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ আসন্ন : জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি
ইয়েমেনের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ খুব শিগগিরই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মকর্তারা৷ গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে৷
জাতিসংঘের ত্রাণবিভাগের প্রধান মার্ক লোকক জানিয়েছেন, ইয়েমেনের জনসংখ্যার অর্ধেক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছে এবং তাঁদের আর কিছুদিন পর পুরোপুরি ত্রাণের উপর নির্ভর করতে হবে৷ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘ইয়েমেনের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে এটা পরিষ্কার যে, দেশটিতে দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং এ ধরনের কাজে আমরা যারা নিয়োজিত আছি, তারা সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি৷” এ সময় তিনি হোদাইদাহ বন্দর দিয়ে ত্রাণ প্রবেশ করতে না দেয়ার সমালোচনা করে বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন করছে৷ ইয়েমেনের ৯০ শতাংশ খাবার আমদানি করতে হয়৷
সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে,ইয়েমেনের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ভয়াবহ পুষ্টিহীনতা, খাদ্যাভাব, এমনকি মৃত্যুর মুখে পড়বে৷ লোকক বলেন, এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ রোধ করতে হলে অবিলম্বে মানবিকতার স্বার্থে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, যাতে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রবেশ করতে পারে৷
গত ২০ বছরে জাতিসংঘ মাত্র দু’বার দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছিল৷ ২০১১ সালে সোমালিয়ায় এবং গত বছর দক্ষিণ সুদানে৷ লোকক বলেন, ইয়েমেনের পরিস্থিতি ওই দুই দুর্ভিক্ষের চেয়েও ভয়াবহ হবে৷
আরব বসন্তের সময় থেকেইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷২০১৪ সাল থেকে পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ সে বছর হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা’র নিয়ন্ত্রণ নেয়৷ ২০১৫ সালে সৌদি আরব শিয়া বিদ্রোহীদের দমনে সামরিক হামলা শুরু করে৷ তখন থেকে এ পর্যন্ত হামলায় ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছে৷
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন