ঈগল মার্কার শোডাউনে না যাওয়ায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে কলেজ শিক্ষর্থীকে নির্যাতন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলমান জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণায় শোডাউনে অংশ না নেয়ায় কলেজ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঈগল মার্কার কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে এই শিক্ষার্থীর পরিবারও দিন পার করছে ভয় আর আতঙ্কের মধ্যদিয়ে।
একমাত্র পুত্র সন্তানকে ফের নির্যাতন চালাতে পারে এমন ভয় নিয়ে পুলিশের দারস্থ পর্যন্ত হয়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। মো. সাগর কবিরাজ উপজেলার বালীয়াতলী ইউপির তুলাতলী গ্রামের সোহেল কবিরাজের পুত্র এবং সরকারী মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের একদশ শ্রেনীর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলেও ক্রীড়ায় সংযুক্ত তিনি।
আর স্থানীয় ফুটবল লীগে খেলার সময় পটুয়াখালী ০৪ আসনের বর্তমান এমপি মহিব্বুর রহমানের সহধর্মীনির সাথে স্মার্টফোনে ছবি তুলে নেটদুনিয়ায় ছাড়তেই কাল হয়ে দাড়াঁয় এই তরুণের। কান্নাজড়িত কন্ঠে সাগরের মা নুরুন্নাহার বেগম জানান, এবার জাতীয় নির্বাচনে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর দোয়া মিলাদের দুদিন পর তাদের শোডাউনে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার তার ছেলেকে ফোন দেয় স্থানীয় সন্ত্রাসী আতাউল এবং মনির। কিন্তু আমার ছেলে সেখানে না গিয়ে সাগরপাড়ে তার বাবার কাজে সহযোগীতার হাত বাড়ায়। এর এইকারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঈগল মার্কার লোকেরা। পরে ডেকে নিয়ে ক্রিটেট ব্যাট এবং স্ট্যাম্প দিয়ে অমানুসিক নির্যাতন করে আতাউল এবং মনির।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে নির্যাতনের পর বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লেও কাউকে কিছু বলেনি ভয়ে। পরে তুলাতলীর এক দোকান্দার ফোন করে জানায় সাগরকে নির্যাতন করা হয়েছে। সাগরের মামা দেলোয়ার খান জানান, আমরা জানতে পারছি যে বর্তমান নৌকার প্রার্থীর বউয়ের সাথে তোলা একটা ছবি সাগর নাকি ফেসবুকে ছারছিল। এরপর ঈগল মার্কার লোকজন তাদের সাথে যাইতে বলছে যায় নাই। এই অপরাধে আমার ভাগনেকে এমন অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা চেয়ারম্যানের কাছে গেছিলাম। কিন্তু সে বিচার করবে বলছে করে নাই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, সংবাদকর্মীরা ওই বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ওই পরিবারে। তবে ঈগল মার্কার সমর্থক আতাউল মনিরের সাথে যোগাগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্যাতনের শিকার কলেজ শিক্ষার্থী ভয়ে সাগরে গিয়ে সময় কাটাচ্ছে বাবার সাথে।
আর ভুক্তভোগী সাগর জানান, আমি বিচার আমার আল্লাহর কাছে দিয়েছি। এবিষয়ে বালীয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির জানান, এবষিয়টি আমার জানা নেই। একজন না গেলে তাকে জোর করে নেয়ার কিছু নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, এমন ঘটনার খবর আমার কাছে নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন