ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদরাতে ৩৫ হাজার গরু জবাই
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদরাতে রাজধানীতে প্রায় ৩৫ হাজার গরু জবাই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) এ কথা জানান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
তিনি বলেন, পুরো রমজান মাস জুড়ে সারা দেশে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ গরু-ছাগল জবাই হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় প্রায় এক লাখ গরু-ছাগল জবাই হয়েছে। আর চাঁদরাতে সবোর্চ্চ ৩৫ হাজার গরু জবাই হয়।
রবিউল আলম বলেন, রোজার মাসে মানুষ মাংস কম খায় কিন্তু ঈদ উপলক্ষে গরু জবাই বেশি হয়। ঈদে মাংস বেশি খাওয়া পড়ে। ঈদের সময় গরু জবাই বেশি হয় মফস্বলে। কারণ মানুষ ঈদের সময় বাড়িতে চলে যায়।
বছরে প্রায় ৬৫ লাখ গরু জবাই হয়। আর খাসি জবাই হয় ৮০ লাখ। সারা বছর মোট দুই কোটি ২০ লাখ গরু ও ছাগল কুরবানিসহ জবাই হয়।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব বলেন, প্রতিমাসে পাঁচ লাখ গবাদি পশু জবাই হয়। রোজার ঈদ উপলক্ষে আরও এক লাখ বেশি জবাই হয়। ছয় লাখের মধ্যে রমজান মাসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনার মত বিভাগীয় শহরগুলোতে তিন লাখ, আর অন্য জেলাগুলোতে আরও তিন লাখ গবাদি পশু জবাই হয়।
তিনি বলেন, রমজান মাসে ঢাকাতে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ গবাদি পশু জবাই হয়।
এদিকে দাম নির্ধারিত না থাকায় বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বাজার ভেদে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০-৬৫০ ও প্রতিকেজি খাসির মাংস ৯০০-৯২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে বাড়তি দাম দিয়ে মাংস কিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
এ প্রসঙ্গে ক্রেতা রবিউল বলেন, এবারের রোজা ও ঈদ উপলক্ষে মাংসের কোনো মূল নির্ধারণ করা হয়নি। মাংসের বাজারে চলছে হরিলুট। এই বাজার অসাধু কারবারিরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন মাংস ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছেন জনসাধারণের পকেট কেটে আদায় করছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন