উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চীনের ভূমিকায় ‘হতাশ’ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় রোববার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে হতাশার কথা জানান ট্রাম্প।

টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘চীনের প্রতি আমি খুবই হতাশ। আমাদের সাবেক বোকা নেতারা তাদের শত শত কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে, এখন পর্যন্ত…।’

কয়েক মিনিট পর করা আরেকটি টুইটার বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘…তাঁরা আমাদের জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া আর কিছুই করেনি। আমরা এটা চলতে দেবো না। চীন সহজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।’

এর আগে গত শুক্রবার চলতি মাসে দ্বিতীবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।

সর্বশেষ পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসসহ কয়েকটি শহরে আঘাত হানতে সক্ষম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার এই পরীক্ষাকে ‘বেপরোয়া’ হিসেবে আখ্যা দেয়। দেশটির এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় চীনও।

এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বকে হুমকি দিয়ে এই অস্ত্র ও পরীক্ষা উত্তর কোরিয়াকে আরো বিচ্ছিন্ন করেছে, দেশটির অর্থনীতি ও মানুষকে বঞ্চিত করেছে।’

‘আমেরিকানদের মাতৃভূমি ও এই অঞ্চলে (উত্তর কোরিয়ার আশপাশ) আমাদের মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।’

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সং ইয়ং-মু শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় স্বতন্ত্র ব্যবস্থা নিচ্ছে তাঁর দেশ।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিবিএমের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এর মাস না পেরোতেই দ্বিতীয় পরীক্ষা চালাল দেশটি।

উত্তর কোরিয়ার এমন হুমকির জবাবে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।