উত্তরের মেয়র পদে পরিচ্ছন্ন মুখ চায় আ.লীগ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে। দলের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চাইছেন তারা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে সফল ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ নানা পেশার মানুষ দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে এক্ষেত্রে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কথাই শেষ কথা। তিনি যাকে উপযুক্ত মনে করবেন সেই হবে দলের মেয়রপ্রার্থী।
এরই মধ্যে আগামী সাংসদ নির্বাচনের আগে রাজধানীর এ উপ-নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা হয়ে এসেছে বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। মুখে স্বীকার না করলেও দলটির একধিক নেতা বলছেন, এই নির্বাচনে দলের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে ব্যাপার আছে।
আবার নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারকেও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরীক্ষাও দিতে হবে। কেননা, এই নির্বাচনের সামান্যতম ভুল আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরই জয় হবে। কেননা, ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই।’
অবশ্য দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে তিনিও নিশ্চিত করে কিছু না বলেও জানান, মনোনয়ন কে পাচ্ছেন; সেটা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। এখানে দলীয় সভাপতির সিদ্ধান্তই সব। দলীয় ফোরামে এ ব্যাপারে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল। এমন একটি নির্বাচনের আগে অনেকের নাম সামনে চলে আসবে এমনটাই স্বাভাবিক। তবে, এতোটুকু বলতে পারি দল থেকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমাদের আনুষ্ঠানিক কথা হয়নি।
‘যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেনো অবশ্যই তাকে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির এবং জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’
দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এমন আলোচনা হবেই। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যোগাযোগ রাখছে। কেউ ফোন করছেন, আবার কেউ অফিসে এমনি কি বাসায়ও চলে আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই দৌড়ঝাঁপ করছেন। তবে মনোনয়ন বোর্ডই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কাকে মনোনয়ন দেবে।’
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌঁড়ে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের মালিক একে আজাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, বিসিবির সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ও মিরপুরের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার।
দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের।
পরের দিন ১ ডিসেম্বর থেকে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ পদে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন