উপচেপড়া ভিড়, উচ্ছ্বাস বঙ্গবন্ধু টানেলে দর্শনার্থীদের
টানেলের দুই প্রান্তে দর্শনার্থীরা বাস, মাইক্রোবাসে করে এসে প্রবেশের জন্য লাইন ধরেন চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দেখতে । দুইপাড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথে যানজট সৃষ্টি হয়। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই এমন লোকজনও পরিবার নিয়ে এসেছেন, টানেলের দুই প্রান্তে যাত্রীবাহী বাসে উঠার জন্য তাদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবু সবার চোখে-মুখে ছিল উচ্ছ্বাস-আনন্দ।
এদিকে দর্শনার্থীদের গাড়ির চাপ টোলপ্লাজার কর্মীদেরও ব্যস্ততা বাড়িয়েছে। গাড়ির চাপ সামলাতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদেরও হিমশিম খেতে দেখা গেছে।শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে দেখা যায়, চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে টানেল সংযোগ সড়কে মানুষের ঢল নেমেছে। টানেল দেখতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট-বড় গাড়িতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন বেশিরভাগ মানুষ। টানেল দিয়ে তারা পাড়ি দিচ্ছেন পতেঙ্গা প্রান্তে। সড়কের পাশে অনেকে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে করছেন বেচা বিক্রি।
চকরিয়া থেকে পরিবার নিয়ে আসা নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘টানেলের কথা বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছি। আজ সরাসরি দেখলাম। অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার।’চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, ‘যা দেখলাম ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তিন মিনিটে পতেঙ্গা যাব এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। বাংলাদেশে এমন যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখব কখনো কল্পনাও করিনি।’
এদিকে টানেল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতেও ভিড় করছেন। সৈকতের আশপাশের হোটেল, মোটেলগুলোতে ভিড় বেড়েছে।নগরীর পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারার পারকি বিচে আসা মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দূরত্বের কারণে কখনো আসা হয়নি আনোয়ারা বা পারকি সমুদ্র সৈকতে।
আজ তিন মিনিটে বঙ্গবন্ধু টানেল পার হয়ে পারকি সৈকতে চলে আসলাম।’টানেলের প্রবেশ মুখে ভোজন বাড়ি রেস্তোরাঁর মালিক ইয়াছিন হিরো বলেন, ‘টানেল উদ্বোধনের পর বেচা-বিক্রি বেড়েছে। তবে উদ্বোধনের পর আজ প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থী বেশি তাই বেচা বিক্রিও বেশি।’
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন, ‘টানেলের ভেতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নৌবাহিনীর। আনোয়ারা প্রান্তের প্রবেশ মুখে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও ট্রাফিক মোতায়েন করা হয়েছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন