উৎকন্ঠা আর নিদ্রাহীন রাত কাটিয়ে গৃহে ফিরছে উপকুলের মানুষ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নিদ্রহীন রাত কাটিয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্র থেকে নিজ আবাসস্থলে ফিরছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
এছাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সিত্রাংএর প্রভাবে উপক‚লীয় এলাকায় কিছু গাছ ভেঙ্গে পড়া ছাড়া তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার ১৭৫টি আশ্রয়ন কেন্দ্রের মধ্যে শতাধিক আশ্রায়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ১৮ হাজার ৩’শ ৬৬ জন মানুষ তাদের নিজ গৃহে ফিরে গেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির। তিনি জানান, সোমবার বিকাল থেকে গৃহপালিত পশু,পাখি ও মালামাল নিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা ভোরের দিকেই তাদের নিজ গৃহে ফিরে গেছেন। তবে লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, তার ইউনিয়নে অন্তত ১৮টি আশ্রয়ন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। কিছু যায়গায় এখনো মানুষ রয়েছেন। তারা দুপুরের মধ্যেই বাড়িতে ফিরবেন। কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে কলাপাড়া উপজেলায় কোথাও কোন দুর্ঘটনার খবর আমাদের কাছে আসেনি।
পটুয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ মহিব্বুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় মানুষের জান মালের নিরাপত্তার লক্ষে সকল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এবং আমি নিজেও ঝড়ো বৃষ্টির মধ্যে শুকনা খাবার নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে গিয়েছি। আল্লহর রহমতে আমার নির্বাচনি এলাকায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সব সময়ই সচেষ্ট থাকবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন