‘এই এলাকায় কেউ বিয়ে করতে রাজি হয় না’
চিরিরবন্দরে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের তৈরি সাঁকোটি দুর্ভোগসহ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে সাধারণ মানুষের চলাচলে। নড়বড়ে বাঁশের এ সাঁকোটি দিঘারন গ্রামের নদী পারাপারে হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন এ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ভালো সাঁকো না থাকায় ওই এলাকায় কেউ বিয়ে করতে রাজি হয় না। দিঘারণ শাহপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ জানান, ছোট যমুনা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে আশপাশের বসবাসরত সর্বসাধারণের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে। শক্তিশালী হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
বাঁশের এ সাঁকোটির উপর দিয়ে ভারী যানবাহন, মাইক্রোবাস, অটো-চার্জার চলতে না পারায় ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থা। এ সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করতে হয় চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষের। গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থ রুগীদের এ সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করা যেমন ভীতিকর, তেমনি খুব কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষক। কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করণের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কৃষকেরা। এতে বর্তমান বাজার মূল্য না পাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
চিরিরবন্দরের আব্দুলপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর ইসলাম শাহ জানান, ব্রীজটি নির্মাণ করা জরুরি। ওই এলাকার মানুষের দুর্দশা চরম আকার ধারণ করেছে। অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস প্রবেশ করতে না পারায় রোগীদের সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন