এক রাতে ছয় জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬
পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দেশের ছয় জেলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিনগত রাতে ময়মনসিংহ, ফেনী, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ ঘটনা ঘটে। এসব ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত চারজন মাদক ব্যবসায়ী, একজন ডাকাত ও অপর একজনকে ছিনতাইকারী বলে দাবি করছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ
শহরের মাসকান্দা গনশার মোড় এলাকায় শনিবার (১৯ মে) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিপ্লব নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত বিপ্লবের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, কতিপয় মাদক বিক্রেতা মাদক ভাগাভাগি করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ হন বিপ্লব।
তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় শনিবার (১৯ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আলমগীর উপজেলার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে একটি মাদকের চালানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতা আলমগীর ও তার দল পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আলমগীর গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এম মোর্শেদ পিপিএম জানান, অভিযানে ওই আস্তানা থেকে একটি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, ১শ’ বোতল ফেনসিডিল ও ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল
সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে রোববার (২০ মে) ভোরের দিকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহত ওই যুবককে ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি করছে পুলিশ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, রেবাবার রাত ৩টার দিকে শায়েস্তাবাদ সংলগ্ন নদীতে আলো দেখতে পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিমের সন্দেহ হয়। এগিয়ে গেলে ডাকাত সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় ডিবি পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৮ বছর। ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগান, ১টি রামদা, ১টি চাপাতি ও ৮ রাউন্ড গুলির খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর
রোববার ভোরে যশোরের ছুটিপুর সড়কের রুদ্রপুর গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি কেএম আজমল হুদা জানান, যশোরের ছুটিপুর সড়কের রুদ্রপুর গ্রামে দু’দল মাদক বিক্রেতা বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে-এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত-পরিচয় একজনের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই ব্যাক্তি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে দাবি করছে পুলিশ। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ৪শ’ পিচ ইয়াবা, ১টি ওয়ানশুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও ৪টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
দিনাজপুর
জেলার বিরল উপজেলার তেগরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গালকাটা বাবু নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গালকাটা বাবু দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
শনিবার দিনগত রাত দুইটার দিকে মির্জাপুর-বালিয়া-উয়ার্শী সড়কের পুষ্টকামুরী দক্ষিণপাড়া ব্রিজের কাছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাতপরিচয় এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, টহলরত পুলিশ সদস্যার ওই ব্রিজের কাছে গেলে ছিনতাইকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহততের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন