এক রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪
দেশের দুই জেলায় এক রাতে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর মধ্যে যশোরেই তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
সাইফুল ইসলাম সজল যশোর থেকে জানিয়েছেন, জেলার অভয়নগর উপজেলায় তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বাগদাহ গ্রামের কদমতলা এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের কাদের আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম, একই গ্রামের আব্দুল বারিক শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান ও আব্দুস সাত্তারের ছেলে মিলন।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়ার দাবি, আজ শনিবার সকালে র্যাব সদস্যরা তিনটি মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। লাশ তিনটি যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ওসির দাবি, ‘নিহত তিনজন সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’
আইয়ুব আলী ময়মনসিংহ থেকে জানিয়েছেন, জেলার নান্দাইল উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. ইমন (১৮)।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাতেই ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম খান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা, তিন ছুরি ও ইট-পাটকেলের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, গত ১৭ মে রাতে নান্দাইল থানার বড়াইল এলাকার অটোরিকশা চালক রানাকে হত্যা এবং অটোরিকশা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গতকাল রাতে ইমনকে গ্রেপ্তারের পর অন্য আসামিদের ধরতে নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের কলাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় ইমনকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ইমন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন ও কনস্টেবল মোক্তার হোসেন আহত হন। নিহত ইমন ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে নান্দাইল থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন