একই দিনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়ায় বাইডেন-ট্রাম্প
আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। এরই মধ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। মার্কিন অনেক নাগরিকই ভোট দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের শীর্ষ নেতারা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথক সময়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তবে এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। প্রচারণার জন্য দুজনই ৫ নভেম্বর শনিবার একই দিনে হাজির হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়ায়। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের সঙ্গে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তারা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক দোলনাখ্যাত ফিলাডেলফিয়ায় প্রচারণা শুরু করেছেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের পক্ষে শহরতলির ভোটারদের ভোট চেয়েছেন তারা, যা তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
গুরুত্বপূর্ণ এ রাজ্যটিতে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। তবে ২০২০ সালে বাইডেন আবার এর নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হন।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ল্যাট্রোব থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন চেয়েছেন; যেখানে ২০১৬ ও ২০২০ সালে সামান্য ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।
পেনসিলভানিয়াকে শুধু সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নয়; যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্যের গভর্নরদের ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্যও ‘অবশ্য জয়ী’ রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ভোটাধিকারসহ মার্কিন ভোটারদের জীবনের বেশির ভাগ দিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
বাইডেনের মতো ট্রাম্প এ বছর পেনসিলভানিয়ায় এ নিয়ে দুবার সফর করেছেন। গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেও একবার এসেছিলেন তিনি। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প দাবি করে বলেন, ব্যাপক ভোট জালিয়াতির কারণে তিনি ২০২০ সালে সেখানে পরাজিত হয়েছেন।
উভয় দলের কৌশলবিদরা মনে করেন, যারাই এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, তারাই প্রতিনিধি পরবর্তী কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্তা হয়ে উঠবে। তবে সিনেটের চিত্র কিছুটা ঘোলাটে।
এদিকে কিছুদিন আগেও গর্ভপাত মার্কিন ভোটারদের জন্য বড় ইস্যু বিবেচিত হলেও শেষ মুহূর্তে দ্রুত এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন অর্থনীতি প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠায় বেকায়দায় রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। এ প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের জয়ের ইঙ্গিত রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নাটকীয় পরিবর্তন না হলে রিপাবলিকান দল ১৫ থেকে ৩০টি অতিরিক্ত আসনে জয়ী হতে পারে। বর্তমানে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৫টি আসনের। মূলত এ প্রেক্ষাপটে উভয় দলের হাই প্রোফাইল নেতারা এখন পেনসিলভানিয়ায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন