একাধিক বিয়ের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামী হাফিজ উদ্দিন আবারও বিয়ে করতে চাইলে প্রতিবাদ করে প্রথম স্ত্রী শরীফা আক্তার। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন শেষে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা চালায় ওই পাষন্ড স্বামী।
পরে তাকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। এর আগেও হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিয়ের অভিযোগ তোলেন স্ত্রী শরীফা। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার মন্ডলসেন গ্রামে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাফিজ উদ্দিনকে আসামী করে মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মন্ডলসেন গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে শরিফা খাতুনের সাথে একই গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়।
সংসারে তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। স্বামী হাফিজ এ সময়ের মধ্যে আরও একাধিক বিয়ে করে। এদিকে হাফিজ উদ্দিন প্রথম স্ত্রী শরিফা খাতুনকে না জানিয়ে সোনারগাঁও গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ইসমত আরাকে তিন বছর আগে বিয়ে করে। এ ঘটনা প্রকাশ পেলে স্ত্রী শরীফার সাথে স্বামী হাফিজের কথা কাটাকাটি ও মনোমানিল্য ঘটে। এনিয়ে শনিবার রাতেও স্বামীর সাথে শরীফার ব্যাপক ঝগড়া হয়। রাত ৩ টার দিকে হাফিজ উদ্দিন শরিফার হাত পা বেঁধে বেধরক মারধর করে।
শরীফা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, দুটি ছেলে সন্তান থাকার পরও স্বামীর বিয়ে করার প্রতিবাদ করায় তাকে হাত-পা বেঁধে বেধরক পিটিয়ে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এর পর বস্তায় ভরে মেরে ফেলার চেষ্টাও চালায়।
মুক্তাগাছা থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াজেদ আলী বলেন, এ ঘটনায় শরীফার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার নামে এর আগে আরও বিয়ে করাসহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন