এখন ওরা সাইকেলে স্কুলে যাবে

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া। তার বাড়ি থেকে স্কুল ২ কিলোমিটার দূরে। বাড়ি থেকে স্কুলে অটোরিকশায় যাতায়াত করতে যে টাকা খরচ হয় তা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের এই শিক্ষার্থী মারিয়া ও তার পরিবারকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল।

মারিয়ার মতোই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র পরিবারের আরও ৯৮ শিক্ষার্থীকে সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছেন ওই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের (এডিপির) অর্থায়নে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এসব বাইসাইকেল দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাইসাইকেল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী সানজিত রানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদের ৯৯ শিক্ষার্থী এক সঙ্গে সাইকেলে চড়ে স্কুল যাতায়াত করলে সেই দৃশ্য স্থানীয়ভাবে নারী শিক্ষাকে বেগবান করবে বলে অভিমত এলাকাবাসীর।

মারিয়া জানান, ৫ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় সাইকেল চালানো শিখেছিল। কিন্তু, পরিবারের সামর্থ্য ছিল না সাইকেল কিনে দেওয়ার। অবশেষে উপজেলা পরিষদ থেকে সাইকেল পেয়ে খুশি। সাইকেলে চড়ে স্কুলে যাতায়াত করতে পারবে। পরিবারকে ভাবতে হবে না যাতায়াত খরচ নিয়ে।

কালীগঞ্জ কেউপি স্কুলের শিক্ষার্থী সাগরিকা বলেন, একটি সাইকেল আমার পড়াশুনার ইচ্ছাকে আরও শক্তিশালী করবে।

দলগ্রাম এলাকার শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, চিন্তায় ছিলাম কীভাবে স্কুলে যাতায়াত করবো। পরিবারের পক্ষ থেকেও খরচ দেওয়া সম্ভব নয়। সাইকেলটি স্কুল যাতায়াত করতে সাহায্য করবে এবং পড়াশুনায় আরও মনোযোগী রাখবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে বছরের শুরুতে বিনামুল্যে বই প্রদানসহ উপবৃত্তির প্রদান করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ভিশন বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমি কাজ করে যাচ্ছি।

কালীগঞ্জর ইউএনও জহির ইমাম বলেন, ‘গ্রামের নারী শিক্ষার্থীরা সাইকেলে চড়ে এক সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করবে। এটা গ্রামে নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করবে। এতে নারী শিক্ষার্থীরা সাহসী হবে এবং পড়াশুনায় তাদের মনোবল আরও দৃঢ় হবে।’