এদেশের মাটিতে আর কোন স্বৈরাচার তৈরি হবে না : আমিনুল হক
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব জাতীয় ফুটবলদলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে আসছি। দীর্ঘ ১৭ বছরের গণআন্দোলনের বাংলাদেশের ছাত্র এবং জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে আর যেন কোন স্বৈরাচার তৈরি না হয়।আর কেন স্বৈরাচার তৈরি হবে না। আমরা চাই বাংলাদেশের মাটিতে একটা স্বচ্ছ সুস্থ ও সুন্দর ধারার রাজনীতি ফিরে আসুক। যেখানে আমাদের কোন ভাইকে গুম করা হবে না, কোন ভাইকে হত্যা করা হবে না, কোন ভাই এর রক্ত ঝরবে না।
তিনি বলেন, যেখানে আমাদের ছাত্র জনতার এ আন্দোলনে ছাত্র ভাইয়েরা শেখ হাসিনার এ স্বৈরাচার আজ্ঞাবহ প্রশাসনের গুলিতে নিহত হয়েছে, আমরা এ রকম বাংলাদেশ আর দেখতে চাই না।
আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার আমাকে গত ২০ জুলাই গ্রেফতার করে ১৩ দিন রিমান্ডের নামে শারীরিক ভাবে অমানসিক নির্যাতন করেছে। চোখ বেঁধে নিয়ে হাত কড়া পড়িয়েছে, শুধু আমি নই আমাদের প্রত্যাকটি ভাইকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে, মনে হচ্ছে আমরা কোন চুরি ডাকাতি করেছি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আমিনুল হক বলেন ক্ষমতার দাপটে দখলদারি, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ এগুলো দেখতে চাই না। বাংলাদেশে এমন স্বচ্ছ রাজনীতি তৈরি হউক যেখানে কোন হানাহানি, কাটাকাটি থাকবে না। রক্ত ঝরবে না। গুম- হত্যা থাকবে না।
ক্ষমতার দাম্ভিকতা চিরস্থায়ী নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতার দাম্ভিকতা করবেন না, দাম্ভিকতা করা উচিত না। আজকে দেখুন ক্ষমতার দাম্ভিকতা করে শেখ হাসিনার কিভাবে পতন হয়েছে।এটা চিরস্থায়ী নয়।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমরা বাংলাদেশে এ রকম একটা পরিবেশ চাই। যেখানে আপনারা আপনাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারবেন। স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারবেন। কাউকে আর ভয় পেয়ে কথা বলার কোন সুযোগ নেই। আমরা সেই পরিবেশটা তৈরি করতে চাই। আমরা বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচার দেখতে চাই না।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সারাদেশে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বাদ আসর মিরপুর ১২ ডি ব্লক সিরামিক গেইট পানির টেংকির মসজিদে দোয়া মাহফিলের পরে মসজিদে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের মধ্যে ৫ জনের বাবা তাদের সন্তানের নিহত হওয়ার আকুতির অনুভূতি কান্না ঝরা কন্ঠে প্রকাশ করেন।এখানে আমিনুল হক তার বক্তব্যে শহীদদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা মাহাবুব আলম মন্টু, কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, পল্লবী থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী,২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাস্টার, সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাদ জুমা রুপনগর ৬ নম্বর রোড জামে মসজিদে বিএনপির উদ্যোগে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ৩ টায় গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে গুলশানথানা বিএনপির দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, গুলশান বনানী ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফরুলে থানা বিএনপির দোয়াও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক। এসময় জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য তরিকুল ইসলাম তেনজিং, থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি,থানা সদস্য ওয়াহিদ আলমসহ প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তরের সকল থানা ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ১৫ আগস্ট ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন অর্থাৎ ৭৯তম জন্মবার্ষিকী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন